মালদা, : - রং নম্বরে যোগাযোগ।তারপরেই প্রেম।বিয়েতে নারাজ যুবক।স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন প্রেমিকা৷ এঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল-২ নং ব্লকের চিলাপাড়া এলাকায়৷সোমবার রাত থেকেই চলছে প্রেমিকার ধর্ণা৷ যদিও ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে উধাও প্রেমিক৷ যুবতির সাফ কথা,প্রেমিককে বিয়ে করেই ধর্ণা থেকে উঠবেন৷তা না হলে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন৷গোটা ঘটনাটি সামসী ও চাঁচল দুই থানায় পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান প্রেমিকা৷ প্রেমিকার নাম শেলি খাতুন৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মালিওর গ্রামে৷ স্থানীয় দৌলতপুর হাইস্কুলের ছাত্রী তিনি৷ প্রেমিক নাসিম আখতার। পেশায় দর্জি৷ চেন্নাইয়ে কাজ করেন৷ বর্তমানে চিল্লাপাড়া গ্রামের বাড়িতেই রয়েছেন৷ শেলি জানান,এক বছর আগে এক অজানা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে৷ তারই সূত্র ধরে নাসিমের সঙ্গে তাঁর পরিচয়৷ ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে৷ দু’জনের মধ্যে প্রেম হয়৷ প্রেমের টানে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন৷ তার সঙ্গে রাতও কাটিয়েছেন৷ কিন্তু প্রেমিকের বাবা-মা তার সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে রাজি নন৷ প্রেমিক তাঁকে জানায়,পরিবার না মানলে তারা পালিয়ে বিয়ে করবে৷গত রবিবার সে তাঁকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে৷ কিন্তু তার মা তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন৷ সোমবার রাত তিনি প্রেমিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় কাটিয়েছেন৷ এদিকে প্রেমিককে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তার মা আর মামা৷ ফোন করলেও প্রেমিক ফোন ধরছে না৷ তাই তিনি প্রেমিককে বিয়ের দাবিতে ধর্ণায় বসেছেন৷ যতক্ষণ না তাঁর বিয়ে হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি ধর্ণা থেকে উঠবেন না৷ আর যদি তাঁর সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে না দেওয়া হয়, তবে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে ফাঁসি দেবেন৷ এদিকে প্রেমিকের মা নার্গিস বিবি বলেন,‘আমার ছেলেকে এই মেয়ে আর তার পরিবারের লোকজন অন্য কোথাও সরিয়ে রেখেছে৷ ছেলে অসুস্থ ছিল৷ চাঁচলে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিল৷ ওর মামা ওকে আনতে গিয়েছিল৷ আমার ভাই ছেলেকে আনতেও গিয়েছিল৷ কিন্তু এই মেয়ের পরিবারের লোকজন ছেলেকে কোথাও সরিয়ে দিয়েছে৷ আমি ছেলের কোনও খোঁজ পাচ্ছি না৷ এই মেয়ে সব মিথ্যে কথা বলছে৷ মেয়েটা যদি আমার ছেলের হাত ধরে ঘরে নিয়ে আসে, তবে আমি এর সঙ্গেই তার বিয়ে দেব৷