বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাত পোহালেই মুসলমানদের প্রধান উৎসব ঈদ গ্রাম বরাকে নেই সেই আমেজ

দিদারুল ইসলাম করিমগঞ্জ আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:১০ পিএম, ১৩ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার

রাত পোহালেই ইসলাম ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ।একমাসব্যাপী পবিত্র রমজান মাস পালনের পর আসে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব খুশীর ঈদ এবার গ্রাম বরাকে নেই সেই আমেজ। 

ঈদ মানেই তো আনন্দের জোয়ার। ঈদ মানেই তো খুশির সঞ্চার। কিন্তু এবারে এসেছে এক নিরানন্দ ঈদ। এবারের ঈদে নেমে এসেছে মহামারি করোনার আঁধার, যা ঈদের চিরায়ত সব আমেজকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বদলে গেছে গ্রাম বরাকের এবারের ঈদের দৃশ্যপট, হারিয়ে গেছে ঈদের চিরচেনা আমেজ।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ঈদগাহ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন শুধু পাঁচ জন।ঈদের দিন সকালে মুসলমানরা মসজিদে একত্রিত হয়ে নামাজ পড়েন। এরপরে তাঁদের পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দিনটি কাটান। একে অপরকে 'ঈদ মোবারক' জানিয়ে কোলাকুলির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নতুন জামাকাপড়, নাচ-গান, আড্ডা, খাওয়া -দাওয়া, সব মিলিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করেন এই উৎসব। কিন্তু এবার গ্রাম বরাকে থাকবে না সেই আমেজ।বদরপুরের কাপড় দোকান এলাকাগুলোতে বছরে দু’টি ঈদকে কেন্দ্র করে জামা-কাপড়, জুতাসহ আরও কিছু পণ্যের জমজমাট বেচাকেনা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে এবার বন্ধ রয়েছে সবধরনের ব্যবসাবাণিজ্য।শবে বরাতের পর থেকে ঈদের বেচাকেনা শুরু হলেও এ বছর চিত্র উল্টো।

ঈদ উপলক্ষে রমজানের শেষ ৪ থেকে ৫টি রাত যেভাবে উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই প্রায় সারারাত ধরে বেচাকেনা করতেন শহরের প্রধান দোকানীরা, এবার নেই সেই দৃশ্যও।এদিকে বরাক উপত্যকা সহ সারা পৃথিবীর আকাশ করোনায় কালো মেঘের ছায়ায় ঢাকা পড়েছে। তাই থমকে গেছে পৃথিবী, থমকে গেছে সময়। দুরন্ত ছুটে চলা পৃথিবী করোনাভাইরাসের কাছে যেন হার মেনেছে। সারা পৃথিবীতে এ ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাস গোটা পৃথিবীর মানুষকে যেন একঘরে করে  রেখেছে। অন্ধকার নেমে এসেছে। তবে আমরা আশাবাদী এ অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যোদয়ে আলোকিত হবে সমগ্র পৃথিবী। গোটা পৃথিবীর মানুষের জীবন আজ গভীর সংকটে। ভারত এ ভাইরাসের হাত থেকে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও যেন থামছে না মৃত্যুর মিছিল। পিতা, মাতা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা বা আপনজনের মৃত্যুতে মানুষ শুধু কান্নায় ফেটে পড়ছে, শোকে পাথর হচ্ছে তবুও লাশ দেখা বা বুকে জড়িয়ে ধরতে পারছে না। এমনকি জানাজায় কিংবা শ্মশানঘা‌টে শরিক হতেও মানা। কারণ, এ ছোঁয়াচে জীবাণু মৃতব্যক্তির দেহ থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ আশঙ্কায় আপনজনের লাশের কাছে যাওয়াও নিষিদ্ধ। সরকারের নির্দিষ্ট কিছু লোকজন ধর্মীয় বিধান মতে লাশ দাফন-কাফন ও কবরের ব্যবস্থা করছে। কী! এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে সমগ্র পৃথিবীতে। এ ধরনের মহাদুর্যোগের মুখে পতিত হবে গোটা পৃথিবী হয়তো তা কেউ ভাবেনি। একদিন এ অন্ধকার কেটে যাবে। আসাম সহ সারা পৃথিবীর আকাশে করোনায় কালো  মেঘের ছায়া কেটে যাবে।