বরাকের বেকারদের জন্য ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নামছে বিডিএফ
দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার
বরাকের সমস্যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিডিএফ-এর মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়। দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় বরাকের ভয়াবহ বেকার সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দত্তরায় বলেন, যেমন জাতীয় স্তরে, তেমনি আসামে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে৷ অথচ সরকারের কোনো হেলদোল নেই। তিনি বলেন, জাতীয় স্তরে গত ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৯.০৬ শতাংশ৷ তা নভেম্বরে ছিল ৬.৫ শতাংশ। আসামের বৃদ্ধির হার আরো উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বরে ছিল ১.২ শতাংশ৷ ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৭.৬ শতাংশ।তিনি বলেন, লকডাউনের সময় বেসরকারি চাকরি ছেড়ে যারা বরাক উপত্যকায় ফিরে এসেছিলেন তাদের অধিকাংশই পুরনো কাজের জায়গায় ফিরে যেতে পারেননি৷ তারা বর্তমানে কর্মহীন অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। প্রদীপ বাবু জানান, বরাক উপত্যকায় বর্তমানে নথিবদ্ধ বেকারের সংখ্যা তিন লক্ষেরও অধিক। তাঁর বক্তব্য, সব মিলিয়ে বরাকের ৪০ লক্ষ জনগণের মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী রয়েছেন, যারা একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিলে যে কোনো রাজ্য সরকারকে পাল্টে দিতে পারেন। তিনি বলেন তারপরও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বরাকের কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে বঞ্চনা ও বৈষম্য ক্রমবর্ধমান। সরকার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সব পদ বরাকের স্থানীয় প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এর উল্টোটাই করা হয়েছে।
বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের দাবি, সরকার যতদিন অব্দি বরাকের শিক্ষিত বেকারদের চাকরি দিতে না পারছে, ততদিন বেকারদের ভাতা দেওয়া হোক৷ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের মাসিক ৫০০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের ৭০০০ টাকা, স্নাতকদের ১০,০০০ টাকা ও স্নাতকোত্তরদের মাসিক ১৫,০০০ টাকা করে বেকার ভাতা দিতে হবে। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবগঠিত দলটি। জানিয়েছেন বিডিএফের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য৷