বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অবৈধ দত্তক নেওয়া শিশুকে উদ্ধার করল প্রশাসন

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২১ রোববার

শ্রীকৃষ্ণ মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর :  পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট ও জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির উদ্যোগে একটি অজ্ঞাত পরিচয় দেড় বছরের কন্যা শিশুকে এগরা ২নং ব্লকের বাথুয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুম্ভধরবার গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হলো। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর আসে যে কুম্ভধরবার গ্রামের বাবু উদ্দিন (নাম অপরিবর্তিত) বাড়িতে একটি শিশুকন্যা লালিত পালিত হচ্ছে, কোথা থেকে এই শিশুটিকে নিয়ে এসেছে, এই বিষয়টি এগরা ২নং ব্লকের শিশু সুরক্ষা কমিটির প্রতিনিধিদের মধ্যে জানাজানি হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা শিশু সুরক্ষা  কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির উদ্যোগে শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। এরফলে কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি হয়েছে। তারা এই অবৈধভাবে একটি শিশুকে লালন পালন করা মেনে নিতে পারেনি। 
এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরে জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি এবং জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক শ্রী পূর্ণেন্দু পৌরাণিক এর নিকট অভিযোগ আশায় তৎপরতার সাথে তাকে উদ্ধার করার সমগ্র প্রক্রিয়া গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপারসন ডক্টর দিলীপ কুমার দাস সহ , জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট, এগরা ২নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও এগরা থানার পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজলা জনকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় এবং শিশু কল্যাণ কমিটি নির্দেশক্রমে শিশুটির যত্ন সুরক্ষা ইত্যাদির জন্য জেলার স্পেশালাইজড এডাপশন এজেন্সি ফরিদপুর বিবেকানন্দ পরিচালিত ' সা ' হোমে  থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক শ্রী পূর্ণেন্দু পৌরাণিক বলেন যে যেসব অবৈধ শিশু বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের উদ্ধারের জন্য ক্রমাগত উদ্যোগ চলতে থাকবে। শিশুদের সুরক্ষার জন্য জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট তক্ক।এরকম অবৈধ দত্তক এর বিরুদ্ধে সর্বদাই তিনি বলেন আইনি অভিভাবক নেওয়ার জন্য অভিভাবকরা যারা চান তারা অভিভাবকত্ব নিতে পারেন।এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বা স্পেশালাইজড এডাপশন এজেন্সি (সা) তে মানুষজন এগিয়ে আসেন এবং সুযোগ-সুবিধা নেন তার জন্য অনুরোধ করেন।
জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপারসন ডক্টর দিলীপ কুমার দাস বলেন যে শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং বৃহৎ স্বার্থে অবৈধ দত্তক কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না এবং এক্ষেত্রে উদ্ধারের প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে অব্যাহত থাকবে । আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বস্তরের সচেতন ও তার মধ্য দিয়ে যাতে দত্তক প্রক্রিয়া চলতে পারে সে বিষয়ে জানান।