প্রশাসক পদ থেকে তরুন নেতার অপসারণ,ক্ষুদ্ধ তরুণ প্রজন্ম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:১১ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার
নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোলঃ জিতেন্দ্রনাথ তেওয়ারীর পদত্যাগের পর আসানসোল পৌরপ্রশাসনে প্রশাসক হিসাবে নতুন নিয়োগ প্রত্যাশিত ছিলো। কিন্তু অমরনাথ চ্যাটার্জীর প্রশাসক হিসাবে নিয়োগের ঘোষণার থেকেও বড় হয়ে উঠলো তরুণ প্রজন্মের দলের রাজ্যব্যাপী পরিচিত মুখ অশোক রুদ্রের অপসারন। যুব সংগঠক অশোক রুদ্র মৃতপ্রায় শিক্ষক সংগঠনকে তৃনমুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা সংগঠনে পরিণত করার পুরস্কার পান দলের কোর কমিটিতে সদস্য রূপে ও পৌর প্রতিনিধি না হয়েও প্রশাসক রূপে আসানসোল নগরনিগমে যুক্ত হয়ে। বিগত তিন মাসে তার কাজ প্রশাসক হিসাবে চোখে পড়ার মতো ছিলো। এলাকাবাসীর পাশে ছট পূজার থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে কিংবা বিজেপিতে জিতেন্দ্র তেওয়ারির যোগদানের সম্ভাবনায় অভিভাবকহীন পৌরনিগমকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই জাতীয় স্তরের প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ ও শিক্ষক। এরপরেই আকস্মিক ছন্দপতনে প্রকারান্তরে আঙুল উঠছে, জিতেন্দ্র তেওয়ারির অপসারণের পর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা শিল্পশহরের এক মন্ত্রীর দিকে। নতুন প্রশাসকও পদ পাওয়ার সাথে সাথে তার সাথে দেখা করে এই হাওয়াতে ইন্ধন দেন।
খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোস্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগরে দেন জেলার ছাত্র, যুব ও শিক্ষকরা। এমনিতেই তৃনমুল কংগ্রেসের মূল দলে শিক্ষিত মানুষকে দায়িত্ব দেওয়া ও শিক্ষক সংগঠনকে গুরুত্ব না দেওয়ার চাপা ক্ষোভ আছে দলের এই অংশে। সেখানে বামআমলে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু করা পরবর্তীতে ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এই নেতা তৃনমুল কংগ্রেস ও মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে নিরলসভাবে দলের কাজ করার জন্য, রাজ্যব্যাপী পরিচিত পান। এই তরুন নেতার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে পেছন থেকে টেনে ধরে ডানা ছাঁটার ঘটনায় আরও একবার বিরোধী বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক মন্তব্য তৃনমূলে শিক্ষিত মানুষের জায়গা নেই, আরও একবার প্রতিষ্ঠিত হলো বলে মত ওয়াকিবহাল মহলে।
তৃনমুল কংগ্রেসের কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অশোক রুদ্র, দলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসাবে করোনা ও আম্ফান বিধ্বস্ত বাংলায় মানুষের পাশে দাঁড়ান সারা রাজ্যে সংগঠনের মাধ্যামে যা দলের অনান্য শাখা সংগঠনের থেকেও সক্রিয় ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাশে ছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর অশোক রুদ্র মৃতপ্রায় শিক্ষক সংগঠনকে সারা বাংলায় চাঙ্গা করে রামধনু শিক্ষক সংগঠনগুলোকে পুনরায় গৃহবন্দী করে তুলেছিলেন, এরপরেও শিক্ষক নেতাদের তৃনমুল কংগ্রেসের মূলদলের নতুন তৈরী হওয়া বিভিন্ন কমিটিতে না রাখা ও সামনে এগিয়ে না নিয়ে আাসার জন্য ক্ষুদ্র ছিলো মানুষের সাথে দৈনন্দিন যোগাযোগ রাখা এই সংগঠনটি। সেখানে এই সিদ্ধান্তে ঘৃতাহুতি দিলো চেপে রাখা ক্ষোভে, এলাকাবাসীরাও অসন্তুষ্ট এই অপসারণে বলে খবর।