শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশ থেকে একদল ডাকাত এই পুজো প্রথম শুরু করেন

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২০ রোববার

মালদাঃ-মালদার হবিবপুর থানার জাজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকোড়া গ্রাম। প্রায় ৩০০ বছর আগে ঘন জঙ্গলে ভরা ছিল। চারিদিকে ছিল শুধুই দুষ্কৃতীদের আতঙ্ক।পুনর্ভবা নদী পেরিরে বাংলাদেশ থেকে একদল ডাকাত এই পুজো প্রথম শুরু করেন। ঘন জঙ্গলে মশাল জ্বালিয়ে রাতভর চলতো মায়ের পূজার্চনা আবার ওই রাতেই পুজো সেরে সূর্য ওঠার আগে ডাকাতের দল নিজেদের ডেরায় ফিরে যেত।পরে ডাকাতদের দমন করে পুজোর দায়িত্ব নেন স্থানীয় জমিদার । অবশেষে, প্রায় ১০০ বছর আগে জমিদার পুজোর দায়িত্ব তুলে দেন গ্রামবাসীদের হাতে।এখন এই মা সার্বজনীন। তৈরী হয় স্থায়ী মন্দীর।এলাকাবাসী বলেন  একবার চক্ষুদানের বলির সময় মা সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। সেই সময় থেকে মা'কে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। এখন শিকল দিয়ে বেঁধে না রাখলেও প্রথম বলির সময় মায়ের সামনে কাপড় দিয়ে দেওয়া হয়। যাতে প্রথম বলি মা দেখতে না পায়।
পুজোর সময় চলে রাতভর পাঠা বলী।আরও একটি ঘটনার কথাও জানান তিনি, এই গ্রামেই ঢেঁকি পাড়াতে আগে রাতে চিড়ে কুটতো গ্রামবাসীরা। হঠাত্‍ সেই পাড়াতে কলেরা ছড়িয়ে পরে। মারা যান কয়েকজন গ্রামবাসী। এক গ্রামবাসী স্বপ্ন দেখেন যে, মা শব্দ পছন্দ করেননা। তাই চিড়ে কোটা বন্ধ করতে হবে তা হলেই সবাই ভালো থাকবে। আর সেদিন থেকেই বন্ধ করে দেন চিড়ে কোটা। বন্ধ করে দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের ব্যবসা।সেই থেকে এখন পর্যন্ত মায়ের পুজোর সময় কোন শব্দ করা হয় না। নিয়ম নিষ্ঠার সাথে আজও মায়ের পুজো করেন গ্রামবাসীরা।মায়ের এই পুজো উপলক্ষে গ্রামে বিশাল মেলা বসে। শুধুমাত্র এই জেলাই নয় বিভিন্ন জেলা এমনকি অন্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসে মায়ের এই পুজো দেখতে।আরো বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।জাগ্রত এই কালির সারাবছর ধরেই পূজা এবং বলি হয়।