বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

করোনার থাবা থেকে রেহায় পায়নি খেজুর গাছের রসের সাথে গুঁড়

ইনামূল ভূঁইয়া

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২০ শুক্রবার

গুড়েও করোনার থাবা।শীত পড়েছে তবে হালকা গুঁড়ো তৈরি হচ্ছে থাক দমা দিয়ে, কারণ একটাই যে পুরোপুরি গুড়ের মরশুম তৈরি না হওয়ায় সেভাবে গাছে রস তৈরি হচ্ছে না তাই যথেষ্ট পরিমাণে গুড় ও তৈরি হচ্ছে না। কারণ রস গাছে দিয়ে তৈরি হয় শীতের মেজাজে সেই অনুকূল পরিবেশ নেই অন্যদিকে করোনার থাবা বসিয়েছে এই গুড় এ অন্যান্য বছর শীত নামতে নামতে বাঁকুড়ার রানী মুকুটমণিপুর পর্যটকদের ঢল নামে আর হালকা ভেজে শীত পড়লেও পর্যটকদের দেখা তাই মুকুটমণিপুর  সুতান ঝিলিমিলি বাঁকুড়া শহর থেকে যাওয়ার পথে এই 72 কিলোমিটার রাস্তায় রুপা শাড়ি রয়েছে খেজুর গুড়ের মহল ।এই মোবাশ্বিরা সারাবছর পথ চেয়ে বসে থাকে স্থানীয় মানুষের থেকেও বেশি পর্যটকদের উপর, কারণ এই নলেন গুড়ের গন্ধ রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে গেলে মম করে গন্ধে তখনই গাড়ি থামিয়ে বাড়ির জন্য বা আত্মীয়-স্বজনদের জন্য গুড় না কিনে বাড়ি ফেরা যায়না তাছাড়াও এই খেজুর গুড়ের পায়েস অদ্ভুত  খেতে মানুষকে ব্যাকুল করে তোলে। খেজুর গুড় যারা তৈরি করে তাদের বক্তব্য যে করো না তাদের ঘুরে থাবা বসিয়েছে তারা প্রতিবছর মহাজনের কাছে দুটো লাভের আশায় গুড় মহল তৈরি করে তখন যে সকল এলাকায় খেজুর গাছ আছে সেই খেজুর গাছের মালিকদের একটা মোটা অংকের টাকা জমা দিতে হয় তাতে লাভ হোক বা না হোক, কারণ যারা গুড় তৈরি করে তাদের কোন নিজস্ব খেজুর বাগান নেই তাই এই চড়া সুদে টাকা নিয়ে ঋণ শোধ করবেন কিভাবে? সে নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গুড় তৈরি মালিকদের তবুও হাল ছাড়েননি গুড় ব্যবসায়ীরা কারণ ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে যদি পর্যটক আসে তাহলে এই চিন্তার ভাঁজ মলিন হয়ে যাবে এখন তাকিয়ে আল্লাহ আর ভগবানের দিকে ভরসা ।