রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘুম আসে না? আপনার বালিশই সমস্যার কারণ নয়তো?

জাগরণ ডেস্ক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

 

নিয়মিত ঘুম কেবল শারীরিক ক্লান্তি দূর করে না,বরং শরীরের সমস্ত কলকব্জাকে ঠিকভাবে কাজ করানোর জন্যও অত্যন্ত কার্যকর। আরামদায়ক ঘুমের অনেকটাই নির্ভর করে বালিশের উপর। ঘুমোনোর বালিশ যদি ঠিকঠাক না হয় তাহলে অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। ঘুম এলেও  উপযুক্ত বালিশের অভাবে  মাঝে মাঝেই তা ভেঙে যেতে পারে।এ ছাড়া ঘাড়ে ব্যথা ও স্পন্ডিলাইটিসের নানা সমস্যাও এই  ঘুমের বালিশ থেকে আসতে পারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শানুযায়ী,ঘুমের বালিশটি যেমন খুব নরম হওয়া যাবেনা, তেমন খুব শক্ত হলেও তা স্পাইনাল কর্ডে নানা সমস্যা তৈরি করে। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার বালিশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাও থাকে। কিন্তু যারা বালিশ ব্যবহার করেন,তাদেরও সঠিক বালিশ সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার।
কলকাতার অস্থি বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় এমন কিছু নিয়মের কথা জানালেন,যা মাথায় রেখে বালিশ পছন্দ করলে ঘুম তো আরামের হবেই,সঙ্গে স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যাও কমবে অনেকটাই। দেখে নিন সেসব টিপ্স।

আকার: ঘুমোনের বালিশের আকার কেমন হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম না থাকলেও চেষ্টা করুন মাথার মাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বালিশ কিনতে।একটু বড় আকারের মাথা হলে সে ক্ষেত্রে কিংবা কুইন সাইজের বালিশ নিন।মাথার আকার ছোট হলে মিডিয়াম বা স্ট্যান্ডার্ড আকারের বালিশ কিনুন।প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন।
উপকরণ :অনেকেই ফোমের বালিশ কেনেন।কিন্তু শরীরের জন্য তা একেবারে উপকারী নয়।কার্পাস তুলার বালিশ শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী।
উচ্চতা :বালিশ কেনার সময় দেখে নিন যাতে কাঁধ বা ঘাড় না বেঁকিয়ে অর্থাৎ মোটামুটি সোজা ও সমান্তরাল রেখেই ঘুমিয়ে পড়া যায়। বিশেষ কোনও পাশ ফিরে শোওয়ার সময় কাঁধের সঙ্গে গলার যতটা ফারাক,বালিশের সঙ্গেও কাঁধের যেন ততটাই ফারাক হয়। অর্থাৎ ঘাড়ের উপরিভাগ ও বালিশের শেষ ভাগ যেন একে অপরকে স্পর্শ করে থাকে।বালিশ কেনার সময় এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কিনুন।
কভার: বালিশের উপর একটা কভার ব্যবহার করুন।এতে মাথার তেল লেগে বালিশ নোংরা হবে না।কভার বাছাইয়ের সময় বরং বেছে নিন সুতির কাপড়কে।সুতিবস্ত্র ছাড়া অন্য কাপড়ের কভারে গরম লাগতে পারে,তাছাড়া ত্বকের জন্যও খুব একটা ভাল নয়।   
সুতরাং,বালিশ কেনার সময় সচেতন হোন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

সাইসে/জেডেএস