বীরভূমের লোকপুরে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে উৎসাহ প্রদান
সেখ রিয়াজুদ্দিন
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:৪৩ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২০ রোববার
আজ মহা নবমী, সকাল থেকে নতুন সাজে সজ্জিত কচিকাঁচাদের দল সহ বড়োরা ও আনন্দ উপভোগ করতে রাস্তায় নামে । কিন্তু করোনা সতর্কতা অবলম্বন করে বাড়ির আশপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের কমলপুর গ্রামের সার্বজনীন সর্বমঙ্গলা পূজা সমিতি প্রতিবছর পূজার কয়েক দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পূজা উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে, কিন্তু আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এবছর করোনার আবহে সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। গ্রামের ঐতিহ্য বজায় রাখতে জৌলুস হীন ভাবে একপ্রকার বস্ত্র বিতরণ করা হয় । সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত কন্যাশ্রী,যুবশ্রী, ইত্যাদি প্রাপকদের ও এদিন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে উৎসাহ প্রদান করা হয়। তাছাড়া স্কুল পড়ুয়া কচিকাঁচাদের জন্য চকলেট, রবার, পেন্সিল ইত্যাদি সম্বলিত প্যাকেট দেওয়া হয়। অন্যদিকে গ্রাম্য বধূদের জন্য আলতা, সিঁদুর, টিপ, নেলপালিশ, নারকেল তেল, সাবান ইত্যাদি সামান যুক্ত প্যাকেট দেওয়া হয়। এরপর যুবশ্রীদের ক্ষেত্রে মোবাইলের মাধ্যমে গ্যাম খেলা থেকে বের করে খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে জার্সি প্রদান করা হয় । এদিন উপস্থিত ছিলেন লোকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মারুফা বিবি, লোকপুর অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের যুগ্ম সভাপতি দেবদাস নন্দী ও পিয়ার মোল্লা পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে আসা বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন হারু খাঁ, সেখ শিশুল, রাজু মন্ডল, গদাই দাস প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ। এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে পূজা কমিটির সদস্য তথা নবসন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ধর্মদাস আঢ্য জানান কমলপুর সার্বজনীন সর্ব মঙ্গলা পূজা সমিতি এলাকায় সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলেছে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করে।উল্লেখ্য এই সংসদে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বাস , সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় একত্রে আনন্দ উপভোগ করে থাকি। আমাদের পাশে সর্বক্ষনের সাথী হাসান রেজা খান, বংশী খান, লাবলু খাঁ প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদি প্রাপকদের উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি অসহায় দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। করোনা আবহে এবছর পূজা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত যদি না মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক পাওয়া যেত । আমরা ও যথাসম্ভব আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান বিতরণ করা হচ্ছে । সেই সঙ্গে বেশি ভীড় বা জমায়েত হতে দিচ্ছি না ।সোস্যাল ডিসটেন্স মানতে চুন দিয়ে গোল গোল দাগ কাটা হয়েছে ভীড় এড়াতে।
কমলপুর গ্রামের ভূমিপুত্র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী পিনাকপানী আঢ্য (নয়ন), কার্তিক আঢ্য,তাপস আঢ্য, সম্পূর্ন আঢ্য সহ গ্রাম্য ব্যাক্তিদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।