ঘটা করে দারিদ্র দিবস পালন করলেও স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা দারি
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:২৫ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২০ রোববার
মালদা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নহাটা অঞ্চল অদূরে রয়েছে সাতঘড়িয়া ও বুধিয়াগ্রাম। সম্প্রতি খাদ্য দিবস হয়েছে দারিদ্র দূরীকরণ দিবস, কিন্তু তাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দরিদ্র পরিবার কর্তার নাম জয়নাল আবেদীন বয়স ৭০ বছর ছুই ছুই। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত ধরে চোখে দেখতে পায় না । ঠিক মত চলাফেরা করতে পারে না। পায়ে এবং হাতে ধরেছে পচন টাকা নেইওষুধ কেনার। আশেপাশের গাছ পাতা তার পচনের ঔষধ । তার স্ত্রী জামিলা বিবি ভিক্ষা করে নিয়ে এসে কোনরকমে সংসার চালাচ্ছেন। বেশিরভাগই অনাহারে দিন যাপন করতে হয়। সংসারে পাঁচজন মেয়ে একটি ছেলে পাঁচটি সন্তানের ভিক্ষা করে বিয়ে দিয়েছে এবং তার একটি নাবালক সন্তানকে কাজের সন্ধানে এ করুনার আবহ তাকে পাঠানো হয়েছে বাইরে। আজও মেলেনি সরকারি কোন ভাতা সরকারিভাবে কোনো ঘর বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা।
অপরদিকে রেশম বেওয়া জানালেন আমি সরকারিভাবে কোনো ঘর পাইনি আমি ভিক্ষা করে খেতাম কিন্তু আমার পা ভেঙে যাওয়ার পর আমি আর ভিক্ষা করতে পারি না, রাস্তায় বসে থাকি রাস্তা দিয়ে কেউ খাবার নিয়ে গেলে আমি চেয়ে খায়! প্রতিবেশীরা দিয়ে গেলে আমি খেতে পাই, না হলে আমি অনাহারে দিন যাপন করি। আমার দুটি ছেলে রয়েছে তারা সংসার করে অন্যত্র চলে গেছে আমাকে ছেড়ে আমাকে তারা দেখেনা। আমি আজ বয়সের ভারে ক্লান্ত।
অপরদিকে বুঝিয়া গ্রামের এক মহিলা জানালেন যে আমরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা কিছুই পাইনা অনাহারে দিন যাপন করছি ভিক্ষা করে সংসার চলে।
পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য মোজাফফর সাহেব জানালেন যে তারা যদি আমার কাছে আসে তাহলে তাদেরকে আমি জিয়ারের ব্যবস্থা করে দেবো। ভোট আছে ভোট যায় রাজনৈতিক নেতারা ভোটের সময় দেখা করে তারপর তাদের আর দেখা নাই।স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য এই অসহায় মানুষগুলোকে নিয়ে আর কতদিন রাজনীতি চলবে। আজ দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস তাদেরকেও আশার আলো কেউ দেখালো না!