জেলাশাসকের নির্দেশিকা অমান্য করে স্কুল পোশাক বিলি, শিক্ষকদের বিরু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৬:৫২ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২০ বুধবার
মালদা ১৪অক্টোবর: জেলাশাসকের নির্দেশিকা অনুযায়ী সংঘের মহিলাদের কাছ থেকে স্কুলের পোশাক নিতে হবে" একাধিক দাবি তুলে বুধবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সংঘের মহিলারা বিডিও অফিস চত্বরে ধর্ণায় বসেন। ঘন্টাখানেক অবস্থান-বিক্ষোভ দেখানোর পর বিডিওর আশ্বাসে উঠে যান বলে খবর।
জানা যায় জেলাশাসকের নির্দেশিকা অমান্য করে স্কুল পোশাক বিলির অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং চক্রের ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। সংঘের মহিলাদের কাছ থেকে জেলাশাসকের নির্দেশিকা থাকা সত্বেও
তাদের কাছ থেকে পোশাক না নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে কিনে কিছু মুনাফা কামানোর আশায় নিম্নমানের পোশাক বিলি করেছে।এই নিয়ে বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত সংঘের মহিলারা বিডিও অফিসে ধর্নায় বসে বিক্ষোভ দেখান।
পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ ৬০০ টাকায় প্রতি ছাত্রছাত্রীকে দু’সেট করে স্কুল ড্রেস দেওয়া কথা বলা হলেও অনেক স্কুলে একটি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ।তাও আবার নিম্নমানের।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় ৪ সেপ্টেম্বর জেলাশাসকের এক নির্দেশিকায় বলা হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে সংঘের মহিলাদের কাছ থেকে অথবা এর বাইরে যেকোনো সংস্থার কাছ থেকে স্কুল পোশাক নিতে পারে।
এরপর সংঘের মহিলাদের লিখিত আবেদনে সাড়া দিয়ে ঐ মাসের ১৮ তারিখে আবার এক নতুন করে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে সংঘের মহিলাদের কাছ থেকেই পোশাক নিতে হবে। অথচ দেখা যায় প্রথম নির্দেশিকা অনুযায়ী
স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজের মতো করে বাইরে থেকে পোশাক কিনে নিয়েছে। লকডাউন চলাকালীন মিড ডে মিল দেওয়ার সময় স্কুলে স্কুলে পোশাক বন্টন শুরু হলে সংঘের মহিলারা প্রতিবাদ করে বলে জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের কাছ থেকেই পোশাক নিতে হবে।
সংঘের মহিলাদের দাবি জেলাশাসকের শেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী সংঘের মহিলাদের কাছ থেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্কুল পোশাক কিনতে হবে।কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম নির্দেশিকার অজুহাত দিয়ে সংঘের কাছ থেকে স্কুল ড্রেস ক্রয় করছে না।
স্কুল কতৃপক্ষের জানান, তারা প্রথম নির্দেশিকা পেয়েই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস সরবরাহ করে দিয়েছে।তাই সংঘের মহিলাদের কাছ থেকে ড্রেস ক্রয় করা সম্ভব হয়নি।
অথচ সংঘের মহিলাদের প্রমান সহ অভিযোগ যে, স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে
তারা তাদের অর্ডারের মেয়াদ পর্যন্ত কোনো স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস সরবরাহ করতে পারেনি,সেই সময় লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ ছিল।তারা সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে সঙ্ঘের মহিলাদের কাছ থেকে ড্রেস ক্রয় করার ফাইনাল অর্ডার বেরিয়ে যাওয়ার পরেও ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস সরবরাহ করেছে।মহিলাদের কাছে সেই প্রমানও রয়েছে।