রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাইস পুতুলের পূজো কাঞ্চনতলা জমিদার বাড়ির

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

অভিজিৎ মন্ডল-/
বহু উথান পতনের মধ্যে দিয়ে কাঞ্চনতলা জমিদার রাঘবেন্দ্র নাথ রায়ের বাড়ির দুর্গাপুজো এ বছর প্রায় ৩০০বছর অতিক্রম করলো।রায় পরিবারের দেবী দুর্গা ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা বাইশ পুতুলের পূজো বলে খ্যাত।ভাঙ্গনের কবল থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করতে দেবী দুর্গার সঙ্গে এখানে পূজিত হন মা গঙ্গা।রায় পরিবারের দেবী দুর্গার উপর শিব বিরাজমান।তার উপরে গঙ্গা।দেবীর ডানদিকে তারা।বামদিকে বিজয়া, নরসিংহ।শিবের ডানদিকে ফিরিঙ্গি।বামদিকে নন্দী।ডানদিকে রাম,লক্ষণ, মকরবাহন।অপরদিকে বিষবহন।সঙ্গে অসুর,সিংহ।এছাড়া লক্ষী-সরস্বতী-গনেশ-কাতিক।
সত্যজিৎ রায় তাঁর বিখ্যাত চিত্রনাট্য জলসাগর ও দেবীর জন্য ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা ও নিমতিতা জমিদার বাড়িকে পছন্দ করেন।রথের দিন ধর্মীয় রীতি মেনে বাইশ পুতুলের কাঠামোর মাটির প্রলেপ দিয়ে চলছে মূর্তি গড়ার কাজ।
মহালয়ার আগে হয় দেবীর বোধন।দশমীর দিন বাড়ির মূল দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।পরিবারের সদস্যরা ছাড়া বাড়ির ভিতরে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।মহিলারা দেবীকে বরণ করেন।পুরুষরা ঢাক বাজান।চলে সিঁদুর খেলা।দেবীকে কাঁধে করে ঢাক-ঢোল কাঁসর বাদ্য সহকারে শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে আসা হয় ধুলিয়ান সদর ঘাটে।গঙ্গা ঘাটে দশমীর দিন বসে মেলা।সন্ধ্যায় গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।জমিদার বাড়ির বংসরক্ষক সুদীপ রায় জানান
এই বছর করোনার প্রভাব তাই এই বছরে যারা ভোগের ডালা নিয়ে আসেন তাদের জন্য বলা হয়েছে কাটা ফল নিয়ে আসা  নিষিদ্ধ একমাত্র গোটা ফল এর ডালা দিতে পারবেন এছাড়া সেনিটায়জার এর ব্যাবস্থা থাকছে মাস্ক ছাড়া ভিতরে ঢুকা বারুন বলে জানান।