*জলের তোড়ে ভেসে গেল রাস্তা।* ফরাক্কা:-অভিজিৎ মন্ডল:- ঝাড়খণ্ডের
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার
*জলের তোড়ে ভেসে গেল রাস্তা।*
ফরাক্কা:-অভিজিৎ মন্ডল:-
ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গেল ৮০ নম্বর ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগ রক্ষাকারীর রাস্তার " নিসিন্দ্রা কাটান" বলে পরিচিত রাস্তাটুকু। এরফলে বিচ্ছিন্ন হয়েগেল দুই জাতীয় সড়ক। দু'পাড়েই আটকে পড়েছে বেশ কিছু লরি সহ বিভিন্ন যানবাহন। ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয়েগেল নিসিন্দ্রা, ঘোড়াইপাড়া, ধর্মাডাঙ্গা, বেওয়া সহ বেশ কিছু গ্রাম। প্রসঙ্গত, বিহারের মোকামা থেকে শুরু করে ৮০ নম্বর জাতীয় সড়কটি এসে শেষ হয়েছে পশ্চিম বাংলার ফরাক্কার সীমান্তবর্তী গ্রাম বেওয়া তে। অন্যদিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কটি কলকাতা থেকে শুরু হয়ে শিলিগুড়ি হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে চলে গেছে। ফরাক্কার এন টি পি সি মোড় থেকে একটি রাস্তা বেওয়া পর্যন্ত গেছে। এটাই সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তা। এটা মূলত ছিল ফরাক্কা ব্যারেজের তৈরি "পরিদর্শন সড়ক"। এই সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তার মধ্যেই রয়েছে ১৫০ মিটার দীর্ঘ " নিসিন্দ্রা কাটান" নামক রাস্তাটি। বুধবার রাত থেকেই ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি জল এই রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে পড়ছিল ফিডার ক্যানেলে। বৃহস্পতিবার রাতে জলের তোড়ে সেই রাস্তায় ভেঙে ভেসে গেল। এপ্রসঙ্গে ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক জানান," ফরাক্কাই চাষ হয় মূলত ফিডার ক্যানেলের পশ্চিম পাড়ে। সেই পশ্চিম পাড়েই কদিনধরে জমছিল ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি জল। এরফলে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেল। জলের পরিমান বৃদ্ধির ফলে তা রাস্তার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল। সেই রাস্তাও ভেসে গেল। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী নিসিন্দ্রা কাটানে সেতু নির্মাণ করা হক। সেই দাবি মেনে এন টি পি সি কর্তৃপক্ষ বছর খানেক আগে উন্নয়ন তহবিলে দেড় কোটি টাকা জমাও দেয়। কিন্তু সেই কাজ এখনও শুরু হল না। ফলে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।