বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গৌতম স্মৃতি শিশু উদ্যানটি শিশুদের ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

হরিশ্চন্দ্রপুরঃ

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ব্লক সদরের গৌতম স্মৃতি শিশু উদ্যান টি রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে শিশুদের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।উল্লেখ্য প্রায় আট বছর আগে তৎকালীন বিধায়কের আর্থিক আনুকূল্যে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টাউন লাইব্রেরী ময়দানে নির্মিত হয়েছিল বলে শিশু উদ্যান। এই শিশু উদ্যানে বসেছিল স্লিপার থেকে শুরু করে দোলনা এমনকি ছিল বসার ব্যবস্থা। এই শিশু উদ্যান এর দেখভালের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরির পরিচালন কমিটির হাতে। কিন্তু প্রশাসনিক নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে এই শিশু উদ্যান আগাছায় ভরে গিয়েছে। শিশু উদ্যান এর ভেতরে বাইরে চারিদিকেই জঙ্গল।শিশু উদ্যানের প্রধান ফটক ভেঙে যাওয়ার ফলে ভিতরে দিনের বেলা গরু-বাছুর চরে বেড়ায়।এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ আলো না থাকায় জরাজীর্ণ এই পার্কের সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যক্তিরা।রাতের বেলা তাস জুয়ার আসর বসে বলেও ও অভিযোগ।
 এলাকার বাসিন্দারা জানান,প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে আবার নতুন করে সেজে উঠুক শিশু উদ্যান। এলাকার শিশুদের ব্যবহারের উপযোগী  করা হোক প্রশাসনের উদ্যোগে।
হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরী পরিচালন কমিটির সম্পাদক সুব্রতকুমার দাস জানান, এই শিশু উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণ করার মত আর্থিক সামর্থ্য বা লোকবল কোনটাই এখন হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরী হাতে নেই। রক্ষণা বেক্ষণের অভাবেই এই পার্কের এখন বেহাল দশা। আমরাও চাই হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক প্রশাসন এই ব্যাপারে নজর দিক।
পরিচালন সমিতির সভাপতি পারিজাত রায় জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর এ আস্তে আস্তে সব খেলার মাঠ নষ্ট হতে বসেছে। তৎকালীন বিধায়কের অনুদানে হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরী ময়দানে একটি শিশু উদ্যান তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমদিকে গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এর তত্ত্বাবধানে এই পার্ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো। বর্তমানে কোন গ্রন্থাগারে কোন স্টাফ নেই। এছাড়াও পার্ক রক্ষণাবেক্ষণ করার মত আর্থিক অবস্থাও গ্রন্থাগারের বর্তমানে নেই। এই দুয়ের কারনে ই শিশুদের জন্য নির্মিত এই উদ্যানটি আস্তে আস্তে নষ্ট হতে বসেছে। অবিলম্বে পার্কটির সৌন্দর্যায়ন করা হোক। গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে ও শিশুউদ্যানে আলোর ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পার্কটি ধ্বংসের মুখে পড়বে।
হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরির প্রাক্তন গ্রন্থাগার সহকারি মালা সান্যাল জানান, ২০১২ সালে এই শিশু উদ্যান  গ্রন্থাগারের মাঠের এক অংশে তৈরি হয়েছিল। তখন লাইব্রেরির আর্থিক সহায়তায় এই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণও দেখভাল করা হতো। পার্কটিতে শিশুদের আনাগোনা ছিল ভাল। বর্তমানে শিশুদের খেলার জায়গার অনেক অভাব।পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন দিলে খুব ভালো হয়।এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের শিশু নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন বলেন, সৌন্দর্যায়নের দাবি এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেছি।আমি এই বিষয়ে নজেলা পরিষদের পরবর্তী সভায় আলোচনা করব।সেই সঙ্গে জেলা শাসককেও জানাবো।  এমন সুন্দর  একটি শিশুদের পার্ক কখনো নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। 
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু বলেন, ওই শিশু উদ্যানের বেহাল দশার কথা শুনেছি।ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই শিশু উদ্যানের সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।