শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বসিরহাট হিন্দু-মুসলিমদের মিলন ক্ষেত্রে প্রার্থনা শালা পেল

শ‍্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:২৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ রোববার

 বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের সরদার হাটি গ্রাম। হিন্দু-মুসলিমদের উভয়ের সমন্বয় গ্রামের মানুষ প্রার্থনা শালা পেল মানুষ ১৮৭৯ সালে মাজাদ গাজী, মাত্র এক টাকার উপরে তৈরি হয়েছিল এই প্রার্থনা শালা। চারিদিকে দরমার বেড়ার আর ছাদ ছিল  চাচের। বহুদিন ধরে একদিকে সংস্কার অন্যদিকে ধর্মীয় পীঠস্থান অবহেলিত ছিল। কিন্তু যথাসময়ে গেছে যুগের পর যুগ এর অবসান ঘটার পরে। দুই বিঘা জমির ওপর এক কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই বছর ধরে তৈরি হল ধর্মস্থল গ্রামের সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে দানের অর্থ দিয়ে সংস্কার করা হল উপাসনা স্থল ।পেল নবরূপে সম্পূর্ণ আধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আলোকসজ্জা তৈরি হল পাকা দালান ঘর ।

উপাসনা স্থল  এই জায়গায় গিয়ে ধর্মীয় প্রার্থনা করতে পারবেন সব ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে এই উপাসনা ঘর। মানুষের কাছে সম্প্রীতি পীঠস্থান মনে করছে সমাজের বিশিষ্ট জনেরা ।সম্পাদক মহাসিন বিশ্বাস সভাপতি শফিকুল ইসলাম উদ্যোক্তা রায়হান  আহমেদ কুরেশি বলেন, ১৪১ বছরের এই প্রার্থনা স্থল খুবই ভগ্নদশা ছিল। আগে ১৫০ জন প্রার্থনা করতে পারতো, এখন৫৫০ জন ,গ্রামের মানুষের কাছে শতাব্দীপ্রাচীন এই ধর্মস্থল ইতিহাস বহন করে আসছে। কিন্তু সংস্কার জমি না থাকার কারণে এতদিন  করতে পারিনি। আমরা সমাজের ব্যবসায়ী থেকে দিন মজুর শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষের দানের অর্থ থেকে এই উপাসনা ঘর হল ।এটা আমাদের সম্প্রীতির পীঠস্থান বলে আমরা মনে করি এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলিত ভাবে সাহায্য করেছে আমাদেরকে।।