সমাজ সচেতনতার বার্তা মীন মঙ্গল উৎসবের মাধ্যমে বীরভূমের লোকপুরে
সেখ রিয়াজুদ্দিন
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:৪৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার
বিপ্লবী ও বিশিষ্ট সমাজসেবী পান্নালাল দাশগুপ্ত প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টেগোর সোসাইটি ফর রুরাল ভেভোলপমেন্ট বীরভূম জেলার রাজনগর খয়রাশোল শাখার উদ্যোগে আজ লোকপুর থানার ডেকুরা গ্রামে শালনদীর তীরে মীন মঙ্গল উৎসব পালন করা হয়।সর্ব সাধারণের পুকুর বা জলাশয় হলো নদ নদী সমুদ্র ইত্যাদি পৃথিবীর তিন ভাগই জল।আজ তার এক চতুর্থাংশ অঞ্চলের জলাশয়ে ও সর্বত্র মাছ চাষ হয়না। বরং সামুদ্রিক সব প্রাণী নির্মম হিংস্র মানুষের ক্ষুধার তাড়নায় আজ বিপন্ন।অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা পান্নালাল বাবু এই মীন মঙ্গল উৎসবের প্রচলন শুরু করেছিলেন আজ থেকে প্রায় পঁচিশ বছর আগে, ধারাবাহিক ভাবে যা আজও বহমান ,প্রতি বছর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এদিন শাল নদীর জলে যেমন মাছ ছাড়া হয় তেমনি নদীর পাড়ে গাছের চারা ও রোপণ করা হয় । মীন মঙ্গল উৎসব নাম থাকলেও মূলত এই উৎসবের উদ্দেশ্য হলো সার্বিক সার্বিক পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন গড়ে তোলা। পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা মূলক শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে কচিকাঁচারদের শ্লোগানে মুখরিত হয়-"গাছ লাগান প্রান বাঁচান,"-"গাছ আনে বৃষ্টি প্রকৃতির সৃষ্টি,"-ডাঙ্গায় লাগাও গাছ জলে ছাড়ো মাছ "-ইত্যাদি সচেতনতা মূলক শ্লোগান এবং পান্নালাল দাশগুপ্ত র আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন টেগোর সোসাইটি ফর রুরাল ভেভোলপমেন্ট এর রাজনগর খয়রাশোল শাখার প্রকল্প আধিকারিক চন্দ্র কান্ত দত্ত, সোসাইটির ফিল্ড কর্মী গৌরাঙ্গ দাস, হিসাব রক্ষক প্রকাশ সিংহ,কাঁকন রুজ প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় কচিকাঁচাদের শ্লোগান, ছড়া, নৃত্য উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আজকের ঘটনা সম্পর্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত জানান টেগোর সোসাইটি ফর রুরাল ভেভোলপমেন্ট রাজনগর খয়রাশোল শাখার প্রকল্প আধিকারিক চন্দ্র কান্ত দত্ত।