সেবকে পাহাড়ি পথে ধস জাতীয় সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিকালে স্বস্তি
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
বুধবার সকালে সেবক পাহাড়ি পথে ধস পরে শিলিগুড়ির সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলো ডুয়ার্স ও সিকিমের। সেবকের এই পাহাড়ি পথে হামেশাই ধস পরে থাকে। এই পাহাড়ি পথ ধরেই চলে গেছে ৩১নং জাতীয় সড়ক। কয়েকদিন ধরে ডুয়ার্স ও পার্শবর্তী পাহাড়ি এলাকায় ক্রমাগত ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। আজ সকালে হঠাৎই সেবক কালীবাড়ি এলাকায় পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর সহ কাদামাটি আছড়ে পরে জাতীয় সড়কের ওপরে। অবরুদ্ধ হয়ে পরে যান চলাচল ব্যবস্থা। রাস্তার দুইদিকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পরে ডুয়ার্স ও সিকিম থেকে শিলিগুড়ি অভিমুখে যাওয়া সমস্ত গাড়ি সাথে শিলিগুড়ি থেকে উল্টোদিকে আসা গাড়িও থমকে যায় ধসের ফলে।
ডুয়ার্স এলাকার কিছু যানবাহন গজলডোবা হয়ে যাতায়াত করলেও সেই রাস্তার অবস্থাও খুবই খারাপ হয়ে রয়েছে। সেই রাস্তায় চলাচল করা খুবই কষ্টকর। মাল শহরের যুবক তথা শিলিগুড়ি নিত্যযাত্রী দেবজিৎ পাল বলেন সেবক পাহাড়ি পথে নিয়মিত ভাবে ধস পরে। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে এই ধসের কারণে। অবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা করা দরকার। বিশেষ করে রেল ব্রিজের পাশ দিয়ে তিস্তা নদীর ওপরে অবিলম্বে সড়ক সেতু নির্মাণ করে এই রোজকার যন্ত্রনা থেকে আমাদের মতন সাধারণ মানুষকে মুক্ত করা অবিলম্বে প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে দ্বিতীয় সেবক ব্রিজের দাবিতে আন্দোলনরত ডুয়ার্স ফোরাম ফর সোশ্যাল রিফর্মস এর সম্পাদক চন্দন রায় বলেন সেবকের পাহাড়ি ধসের ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রোগীর পরিবার, গাড়ি চালক সকলের অবস্থাই বিপর্যস্ত হয়ে পরে সাথে সকলেই ভয়ভীত হয়ে এই পাহাড়ি এলাকার মধ্য দিয়ে শিলিগুড়ি যান তাদের দৈনন্দিন কাজ করবার তাগিদে। অবিলম্বে রেল ব্রিজের পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক সেতু নির্মাণের প্রয়োজন ও আশু কর্তব্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ আজ ডুয়ার্স তথা উত্তর পূর্ব ভারতের ব্যবসা বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব কিছুই শিলিগুড়ি নির্ভর। স্বাধীনতার পরে অনেক নতুন ব্রিজ তৈরী হলেও সেবকে পাহাড়ি পথে করোনেশন ব্রিজের বিকল্প ব্রিজ আজ পর্যন্ত তৈরী করা হোলো না। আমাদের এই পাহাড়ি পথে চলাচল যে কি কষ্টের তা এই অঞ্চলের শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই জানেন। তবুও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ থমকে রয়েছে। আজও সেবকে পুনরায় ধস নামলো বিগত দিনের ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়াই আমাদের সকলের এখন সবসময়ের প্রার্থনা।
ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ধস সরানোর কাজ শুরু করেছেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এ প্রসঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি।দুফুর ১২টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।