আজ শ্যামাপূজা ও দীপাবলি
সুহৃদ জাহাঙ্গীর
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
আজ মঙ্গলবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। তারা আজ ধুমধামের সঙ্গে পালন করছে শ্যামাপূজা, যা কালীপূজা নামেও অভিহিত। সেই সঙ্গে উদযাপন করছে দীপাবলি বা দিওয়ালী।
আজ পৃথিবীতে আগমন ঘটে মা কালী বা শ্যামা দেবীর। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মধ্যে দিয়ে কল্যাণ বয়ে নিয়ে তার আগমন। দেবী তার ভক্তদের কাছে শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
দীপাবলি উৎসবের শুভ সূচনা হয় বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন মাসে কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরস অনুষ্ঠানের মধ্য। আর শেষ হয় কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা মাধ্যমে। নবরাত্রি উৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর দীপাবলি শুরু হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বরের মধ্যে দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়।
দীপাবলি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মরিশাস, গুয়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিজিতে উদযাপিত হয়। এমনকি এসব দেশে দীপাবলি উদযাপনের জন্য সরকারি ছুটিও দেয়া হয়।
আজ বাংলাদেশেও ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাববেগের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের এই শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উযদাপন করছে। মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর পূজা অর্চনা ও আরাধনা হবে। সন্ধ্যায় মন্দির, পূজা মণ্ডপ ও ঘরে ঘরে মোমবাতি প্রজ্জালন, আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের উৎসব উদযাপন করবে। সেই সঙ্গে প্রসাদ বিতরণ, আরতি, ধর্মীয় গীত পরিবেশিত হচ্ছে।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে শ্যামা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। পূজা ছাড়াও দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করা হয়। এছাড়া গোপীবাগ রামকৃষ্ণ মিশন, সবুজবাগ বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে তিন দিনব্যাপী পূজা উদযাপনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকে পূজা অর্চণা, অঞ্জলী প্রদান ও প্রসাদ বিতরণসহ সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে গঙ্গাসাগর দীঘির পাড়ে সহস্র মোমবাতি প্রজ্জ্বালন, ৭টা ১ মিনিটে আতশবাজি, বেঙ্গল লাইটস প্রদর্শনী এবং রাত ৮টা ৩১ মিনিটে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন। উৎসবে ছয়টি নাটক মঞ্চায়ন হবে। সমাপ্তির দিন সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটে সান্ধ্য পূজা উদযাপন করা হবে।
একইসঙ্গে রামসীতা মন্দির, রায়েরবাজার কালীমন্দির, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বনগ্রাম রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, মা আনন্দময়ী আশ্রম, পোস্তগোলা শ্মশান, লালবাগ শ্মশান, রাজারবাগ, বাড্ডা, পান্নিটোলা, মতিঝিল, রমনা, গুলশান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ঠাঁটারীবাজার, শাঁখারীবাজার, তাঁতিবাজার, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার, সূত্রাপুর, দয়াগঞ্জ, শ্যামবাজার, কোতোয়ালি, উত্তর মুশুণ্ডী, দক্ষিণ মুশুণ্ডী, নারিন্দা, যুগীনগর, নবাবপুর, ও শ্যামপুরসহ বিভিন্ন স্থানেও শ্যামাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।
এসজে/এফসি/এসএইচএস