রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাড়ায় পাড়ায় শুরু পাঠদান
দিদারুল ইসলাম, আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারনে মার্চ মাস থেকে সরকারি, বেসরকারি বিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা। যদিও রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে এই সময়ের মধ্যে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে শহর এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হলেও গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা তেমন একটা উপকৃত হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর নতুন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, ২০ আগস্ট থেকে পাড়ায় পাড়ায় অথবা গাছের নিচে পাঁচজন করে ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠদান করবেন। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার লক্ষ্য করা যায় শহরের বেশ কিছু স্কুলে অনুরূপ ভাবে ক্লাস হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান অভিভাবকেরা। ঘরে বসে থেকে ছাত্র ছাত্রীরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ছিল। মোবাইলে ক্লাস হলেও তাতে ঝুঁকি কম ছিল। গেইম খেলার প্রতি আগ্রহ বেশী দেখা দেয়। এছাড়া চোখের উপর চাপ পড়ে। তবে এই ব্যবস্থায় স্থান চিহ্নিত করার বিষয়ে আরো দৃষ্টি দেওয়ার আবেদন জানান এক অভিভাবক। অন্য অভিভাবকের বক্তব্য শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত সকল ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। তবে ক্লাস যে স্থানে করা হবে সেই স্থানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে যাতে নজর রাখা হয় তাঁর দাবি জানান। অনেক দিন পর ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল মুখী হতে পেরে খুশি বলে জানান অভিভাবকেরা। অন্যদিকে শিশু বিহার স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা রিঙ্কু ভট্টাচার্য জানান কোভীড-১৯ এর পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক এদিন থেকে খোলা আকাশের নীচে ৫ জন করে ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাশ শুরু হয়েছে। মূলত যারা অন লাইন ক্লাস করতে পারছে না তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এতে শিশুরা সন্তুষ্ট। সমস্ত নির্দেশ মেনে এই ক্লাস শুরু হয়েছে বলে জানান শিক্ষিকা। মাস্ক, দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে এই ক্লাশ শুরু হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত এই ধরনের ক্লাশ চলছে। মূলত তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্রেনী পর্যন্ত ৫ জন ছাত্র ছাত্রীকে স্কুলে এনে এই ক্লাশ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি । অভিভাবকেরা এতে সহযোগিতা করছে বলে জানান শিশু বিহার স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা রিঙ্কু ভট্টাচার্য।