শিশু অপহরণ ও হত্যার সিআইডি তদন্ত দাবি প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতার
আবুল সাহিদ , শিলচর আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:৪৯ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার
আসাম রাজ্যের শিলচর সোনাই কাজিডহর এলাকায় চার মাসের শিশু ধ্রুবজ্যোতি নাথের অপহরণ এবং হত্যার সিআইডি তদন্ত দাবি করলেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে আবেদনটি জানিয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরে সোনোয়াল সুস্মিতাকে ফোন করে প্রথমে ঘটনার সম্পূর্ণ বৃত্তান্ত জানতে চান। এরপর তিনি আশ্বাস দেন, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি নিজে ফোনে কথা বলবেন এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে।
এদিন দুপুরে শিলচরের কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুস্মিতা। তিনি প্রথমেই বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে যুবসমাজ একে একে রোজগারের সম্ভাবনাগুলো হারাচ্ছে এতে অপরাধমূলক ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি বলছি না প্রত্যেক যুবক যারা রোজগার করতে পারছে না তাদের মধ্যে অপরাধমূলক মনোবৃত্তি তৈরি হতে পারে, তবে একাংশের মধ্যে এটা হওয়া সম্ভব। শিশুটিকে অপহরণের পর ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল, শেষমেষ অপহরণকারীরা দেড় লক্ষ টাকা চেয়েছিল। এতে বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনার পিছনে হয়তো কোনওভাবে বেরোজগারি সমস্যার হাত রয়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম যাতে ঘটনার সিআইডি তদন্ত হয়। তিনি যখন নিজেই ফোন করে আশ্বাস দিয়েছেন তাহলে আমার বিশ্বাস নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। দলগত মতানৈক্যের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের প্রত্যেককে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”
এদিন দুপুরে শিলচরের কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুস্মিতা। তিনি প্রথমেই বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে যুবসমাজ একে একে রোজগারের সম্ভাবনাগুলো হারাচ্ছে এতে অপরাধমূলক ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি বলছি না প্রত্যেক যুবক যারা রোজগার করতে পারছে না তাদের মধ্যে অপরাধমূলক মনোবৃত্তি তৈরি হতে পারে, তবে একাংশের মধ্যে এটা হওয়া সম্ভব। শিশুটিকে অপহরণের পর ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল, শেষমেষ অপহরণকারীরা দেড় লক্ষ টাকা চেয়েছিল। এতে বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনার পিছনে হয়তো কোনওভাবে বেরোজগারি সমস্যার হাত রয়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম যাতে ঘটনার সিআইডি তদন্ত হয়। তিনি যখন নিজেই ফোন করে আশ্বাস দিয়েছেন তাহলে আমার বিশ্বাস নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। দলগত মতানৈক্যের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের প্রত্যেককে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”
উল্লেখ্য, সোনাই কাজিডহর এলাকার অপহৃত শিশুর মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে আমজুরঘাট এলাকায় মাটিতে পুঁতে রেখে দেওয়া হয়েছিল শিশুর মৃতদেহটি। অপহরণ সূত্রে প্রথমে যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল তার বয়ান থেকেই পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়। অপরাধী জানিয়েছে, যেদিন শিশুটিকে তারা অপহরণ করেছিল সেদিনই হত্যা করে। তবে এর পেছনে আসল উদ্দেশ্য কি সেটা এখনো পরিষ্কার হয়নি। এখন পর্যন্ত মোট তিন ব্যক্তিকে এই সূত্রে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সমাজে প্রত্যেক ব্যক্তির নিরাপত্তা সরকারের সব থেকে বড় দায়িত্ব। রাজ্যের গৃহমন্ত্রক মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখে দিয়েছেন। আমার ধারণা, অন্যান্য দায়িত্ব পালনের ভার থাকায় এই বিভাগের ওপর বিশেষ নজর দিতে পারছেন না তিনি। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ সঠিক ভাবে চালাতে কোনও একজন যোগ্য মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে না পারলে সাধারণ মানুষ বারবার এভাবেই নিজের পরিজনদের হারাবেন। এখন পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, আগামীতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি আমাদের আবেদনে কাজ না হয়, তাহলে বিরোধী দল হিসেবে প্রতিবাদ জানাতেই হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মতভেদ সামনে না এনে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে, এটুকুই আমি চাই।”
সুস্মিতা দেব শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় কথা হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সুস্মিতা দেবকে ফোন করেন। দীর্ঘ আলাপচারিতায় সুস্মিতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরো ঘটনার বৃত্তান্ত তুলে ধরেন এবং সিআইডি তদন্তের দাবির কথাও বলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাকে বলেন, তিনি কাছাড়ের পুলিশ সুপার বিএল মিনা এবং দক্ষিণ আসাম প্রান্তের ডিআইজি দিলীপ কুমার দে’র সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলবেন।সুস্মিতা দেব শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় কথা হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সুস্মিতা দেবকে ফোন করেন। দীর্ঘ আলাপচারিতায় সুস্মিতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরো ঘটনার বৃত্তান্ত তুলে ধরেন এবং সিআইডি তদন্তের দাবির কথাও বলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাকে বলেন, তিনি কাছাড়ের পুলিশ সুপার বিএল মিনা এবং দক্ষিণ আসাম প্রান্তের ডিআইজি দিলীপ কুমার দে’র সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলবেন।
প্রাক্তন সাংসদ বৃহস্পতিবার অপহৃত শিশুর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গেছিলেন। পাশাপাশি তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন। পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছিলেন শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করবেন, তবে দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি। তবে আগামীতে যাতে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এদিকে নজর রাখতে পুলিশ সুপারকে বলেছেন সুস্মিতা।
অতীতে বিভিন্ন অপহরণ এবং হত্যার ঘটনায় এখনও দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। পুলিশের বর্তমান আধিকারিকরা অতীতের ঘটনাগুলো যাচাই করে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এমনটাই আশা করেন প্রাক্তন সাংসদ।