বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোগীর তুলনায় ডাক্তার কম, সাফাই মেডিক্যাল সুপারের

আবুল সাহিদ , শিলচর আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ এএম, ৭ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার

আসাম রাজ্যের শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ব্লকে চিকিতসাধীনদের নানা অভিযোগ। জরুরি সময়েও ডেকে ডাক্তার-নার্স পাওয়া যায় না, খাবার দেওয়ার সময়ের কোনও হিসেব নেই, পাখা ঘোরে না, শৌচাগার সাফ হয় না, আরও কত কী! এগুলি যে বাড়াবাড়ি নয়, স্বীকার করে নিলেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. অভিজিত স্বামী। সবকটি আবার নানা যুক্তি দিয়ে কাটানোরও চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ডাক্তার, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিনিয়ত পজিটিভ হচ্ছেন। একেকটা পজিটিভের দরুন আরও অনেককে কোয়রান্টিনে পাঠাতে হয়। ফলে প্রতি শিফটে 3-4 ডাক্তারকেই নিয়োজিত করা যায়। কিন্তু রোগী প্রায় 200। বিভিন্ন ইউনিটে। এর ওপর গরমে সারাক্ষণ পিপিই কিট পরে রাখা সাংঘাতিক বিষয়। খাবার দেওয়ার সময় বা অন্যান্য সমস্যাগুলি নিয়েও তাঁর বক্তব্য, যিনি তাদের যে সার্ভিস দেবেন, পিপিই কিট পরে যেতে হয়। সে জন্য ইলেকট্রিসিয়ানকে ভেতরে পাঠানো যায় না। দৈনিক 500 টাকা হাজিরা দিয়ে ক্লিনার মিলছে না।
কোভিড টেস্টের ফলাফলের অপেক্ষায় ডাক্তাররা নন-কোভিড রোগীদের চিকিতসা করান না, এই অভিযোগ খারিজ করে দেন অভিজিতবাবু। তিনি বলেন, এটা করা গেলে মেডিক্যালের অনেক ঝামেলা কমে যেত,কিন্তু মানবিক কারণেই এমনটা করা সম্ভব হয় না। নানা উদাহরণ টেনে তিনি জানান, কোভিড টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বটে, কিন্তু ফলাফল আসার আগেই চিকিতসা শুরু হয়ে যায়। সে জন্য পরে যখন পজিটিভ বেরোয়, তখন কখনও কোনও ইউনিট, কখনও কোনও আইসিইউ কন্টেনমেন্ট করতে হয়।