সুষ্ঠু নির্বাচন চায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
জাগরণ প্রতিবেদক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৪:২৩ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
দেশের সব রাজনৈতিক দলেগুলোর অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এ লক্ষে সংগঠনটি ছয় দফা পরামর্শ দিয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, "আমরা মনে করি সংবিধানই হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সব মত ও চিন্তার প্রতিফলন একমাত্র জাতীয় সংসদেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। নির্বাচনে সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ - সুবিধা নিশ্চিত করার স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী, এমপিদের কোনো ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে না। "
"মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত এবং মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোষ্যদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনে দলীয় স্বার্থে সব ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশীশক্তির ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালির হাজার বছরের মূল্যবোধ, নীতিনৈতিকতা বিরোধী অপপ্রচার প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। "
২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘২০১৪ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছিলো । তবে কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি । তারাই মূলত সহিংসতা করেছিল। তবে এবার আশা করবো, সব দলের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ফলে সহিংসতা হবে না। ’
ড. কামাল হোসেন ও ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা হলেও তাদের কটাক্ষ করা হয়- বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,‘ শুধু অস্ত্র হাতে নিলেই মুক্তিযোদ্ধা হয় না। মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে আদর্শ ধারণ করতে হয় হয়। ৭১ এর সংবিধানে ড. কামাল হোসেন সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদ নিয়ে এসেছিলেন। এখন তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করেন। আর ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা হলেও এখন ভিন্ন আদর্শ ধারণ করেছেন। ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ ভিন্ন ব্যানারে সংবর্ধনা দিয়েছে, বিষয়টি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ড সম্মিলিতভাবে সমাবেশ করে সংবর্ধনা দিয়েছে; হেফাজত না। আর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন। কওমি মাদ্রাসা তো নিষিদ্ধ না। আমরা এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখছি না।
রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর বলেন,‘ ছোট দলগুলোর কদর বাড়ছে। তাদের জোট হচ্ছে। তবে আমরা এগুলো দেখে বিচলিত নই।
সংগঠনের সাবেক সভপতি নাসির উদ্দীন ইউসূফ বাচ্চু বলেন, নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। নানান সমীকরণ হচ্ছে। এটা নির্বাচনের সংস্কৃতি। এখন শত্রুর শত্রু আমরা বন্ধু এই সমীকরণ চলছে। এটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
আরএম/জেডএস/এমটিআই