শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আলগাপুর বাজার এটিএম প্রবঞ্চকের হাতে পড়ে লুট ১ লক্ষ

রাহাতুল আক্তার বড়ভূইয়া

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

আলগাপুর বাজার এটিএম প্রবঞ্চকের হাতে পড়ে লুট ১ লক্ষ

 

আলগাপুর বাজারে থাকা এস বি আই  এটিএমে ভ্যালেন্স চেক করতে এটিএম প্রবঞ্চকের হাতে পড়ে সর্বহারা হলেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ জুলাই আলগা পুর বাজারে। এটিএম প্রবঞ্চকের হাতে প্রবঞ্চনা র শিকার হলেন আলগাপুর তৃতীয় খন্ডের মতাহির আলি চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। এই নিয়ে মতাহির আলি কালাইনের  এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে আলগাপুর থানায় একটি মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক আটক করেছে আলগাপুর পুলিশ। মতাহির আলি চৌধুরী আলগাপুর থানায় দেওয়া এজাহারে উল্লেখ করেন গত ২০ জুলাই তিনি আলগাপুর এটিএমে আসেন  একাউন্ট ভ্যালেন্স চেক করার জন্য কিন্তূ মেশিনের আলোতে তিনি কিছু দেখতে না পারায় পাশে থাকা একটি যুবক তাকে এটিএম চেক করে দেওয়ার কথা বলিলে মতাহির আলি নিজের এটিএম টি ওই যুবকের হাতে দেন। পরে তিনি বাড়িতে যাওয়ার কিছু সময় পর তার মোবাইলে একটি এস এম এস আসে। এস এম এস দেখে তিনি এটিএম কার্ড টি তিনি তার ছেলের হাতে দিলে ছেলে বলে এটি এম টি বদলি করা হয়েছে। এতে তাদের বুঝতে আর বাকি নেই যে ওই ছেলেটি এটিএম বদলি করে ফেলেছে। ততক্ষণাৎ মতাহির আলির  ছেলে এটিএম ব্লক করে।   পর দিন তারা  হাইলাকান্দি এস বি আই শাখায় গিয়ে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করে দেখেন তার একাউন্ট হইতে এক লক্ষ পাচ হাজার টাকা উঠানো হয়েছে। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এ দেখা যায় কালাইন এর একটি সিএসপি তে টাকা গুলি ট্রেন্সফার করা হয়েছে। যে এসিপি থে টাকা গুলি ট্রেন্সফার করা হয় সেটির ম্যানেজার কালাইন লক্ষীশহরের  কিশোর দাস নামের এক ব্যক্তির । পরে মতাহির আলি সি এস পি কর্তার সাথে যোগাযোগ করার পর কিশোর দাস টাকাগুলি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বলে মতাহির আলি এজেহারে উল্লেখ করেন। কিন্তূ পরে কিশোর দাস টাকাগুলি ফেরত দিতে নানা টালবাহানা করার শেষ পর্যন্ত আলগাপুর থানায় আজ একটি মামলা করেন মতাহির আলি চৌধুরী। মতাহির আলির এজাহারের ভিত্তিতে তদন্তের স্বার্থে আলগাপুর পুলিশ কিশোর দাস নামের ওই সি এস পি ম্যানেজার কে বৃহপতিবার কালাইন থেকে আটক করে আলগাপুর থানায় নিয়ে আসে। আলগাপুর পুলিশ কিশোর দাসের বিরুদ্ধে কেইছ নং ৪২০/৩৭৯ ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী ২৩৮/২০ নম্বরে একটি মামলা নথিভুক্ত করে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে আলগাপুরে বেশ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।