শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে দুর্গতরা

দিদারুল ইসলাম, আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২০ শনিবার

অতিমারি করোনা প্রকোপের মাঝেই এখন অসমের ২৭টি জেলায় বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বন্যায় এ পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭১ জন লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অসমের জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৬ লক্ষের গণ্ডি। তাছাড়া প্রায় ২২ লক্ষ জীবজন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বরপেটা, গোয়ালপাড়া, ধেমাজি, লক্ষ্ণীপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, দরং, বাকসা, নলবাড়ি, কোকরাঝোড় ও কামরূপ–সহ বাকি ১৬টি জেলার অবস্থাও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত ৩৩৭৬টি গ্রামের ১ লক্ষ ৩১ হাজার হেক্টর জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। জোরহাট, তেজপুর, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি সহ ১২ জেলায় ধানসিঁড়ি, জিয়া, ভারালি, কপিলি সহ ৭টি নদীর জলও বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে বলে জানা গিয়েছে।

বন্যাক্রান্ত জেলাগুলোতে সরকার উদ্ধার এবং সাহায্য অভিযান চালাচ্ছে। সর্বানন্দ সনোয়াল নেতৃত্বাধীন সরকার ২৭টি জেলায় ৭৪৮ টি আশ্রয় শিবির স্থাপন করেছে এবং সেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়রত অবস্থায় রয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন ক্যাম্পে সরকারি কোন ধরনের সাহায্য পৌঁছেনি বলে বিভিন্ন জন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দুর্গত এলাকায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে জনগণের মধ্যে।অসম সরকার করোনা নিয়ে যত ব্যস্ত হচ্ছে সে তুলনায় বন্যা পীড়িতদের নিয়ে সমান উদ্বিগ্ন নন। ঘটনায় বিষোদগার প্রকাশ করেছেন আক্রান্তরা। বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন।এদিকে, বন্যার জলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। ৪১টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ এলাকা এখনও জলের তলায় রয়েছে।

কাজিরাঙায় ২২৩টি ক্যাম্পের মধ্যে ৭৩টি ক্যাম্প জলমগ্ন। মোরিগাঁও জেলাতে পবিতরা অভয়ারণ্যের ২৫টি ক্যাম্পের মধ্যে ১২টি ক্যাম্প জলমগ্ন রয়েছে। এছাড়াও রাজীব গান্ধী অরেঞ্জ ন্যাশনাল পার্কেও ২টি ক্যাম্প জলের তলায় রয়েছে। বন্যার জলে ভেসে গেছে অধিকাংশ রাস্তাঘাট।