হাইলাকান্দিতে কংগ্রেসীদের হাতে প্রাণঘাতী হামলার কৃষক নেতা জহিরের
রাহাতুল আক্তার বড়ভুইয়া
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:২৬ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার
হাইলাকান্দিতে কংগ্রেসীদের হাতে প্রাণঘাতী হামলার কৃষক নেতা জহির উদ্দিনের
দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে সরব হাইলাকান্দির বিভিন্ন দল সংঘটন
সংখ্যালঘু ছাত্রবৃত্তি কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তোলায় প্রকাশ্য দিবালোকে হাইলাকান্দি শহরে দলবদ্ধ প্রাণঘাতী আক্রমণের শিকার হলেন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন লস্কর। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় জহির উদ্দিন লস্কর ব্যক্তিগত কাজে হাইলাকান্দি জিলা পরিষদ কার্যালয়ে আসলে জাহান আহমদ বড়ভূইয়া, বাবু আহমদ লস্কর ও শহিদুল আলম বড়ভূইয়া তাদের গুণ্ডাবাহিনী নিয়ে হঠাৎ করে জিলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল প্রবেশধারে ডুকে কৃষক মুক্তির নেতা জহির উদ্দিন লস্করের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণের চেষ্টা করেন। যদিও তৎক্ষণাৎ কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে কোনোরকম প্রাণ রক্ষা করেন জহির উদ্দিন লস্কর। পরে খবর পেয়ে হাইলাকান্দি সদর থানার পুলিশ এসে জিলা পরিষদ কার্যালয় থেকে জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এদিন, প্রণঘাতী হামলার শিকার জহির উদ্দিন লস্কর । জাহান উদ্দিন বড়ভূইয়া, বাবু আহমদ লস্কর, জহিরুল ইসলাম বড়ভূইয়া ও শহিদুল আলম বড়ভূইয়াকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কৃষক মুক্তির নেতা জহির উদ্দিন লস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি জিলা পরিষদ কার্যালয়ে ডুকার পরই জিলা পরিষদের উপসভাপতি হিলাল উদ্দিন বড়ভূইয়া কেলেঙ্কারিতে জড়িত উপরোক্ত দালালদের খবর দিয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। কৃষকনেতা জহির উদ্দিন লস্কর অভিযোগ করে বলেন, সংখ্যালঘু ছাত্রবৃত্তি কেলেঙ্কারির মূল খলনায়ক হিসেবে জিলা পরিষদের উপসভাপতি হিলাল উদ্দিন বড়ভূইয়ার নাম চর্চায় এসেছে। তাছাড়া ইদানিং প্রতিনিয়ত একের পর এক তথ্য উন্মোচন করায় ছাত্রবৃত্তি কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের মূখোশ খুলে যাচ্ছে। আর এতেই দলবদ্ধ আক্রমণ করে জহির উদ্দিন লস্করকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এদিকে, দিনদুপুরে প্রকাশ্যে সরকারী কার্যালয়ে ডুকে সংখ্যালঘু ছাত্রবৃত্তি কেলেঙ্কারির খলনায়করা কৃষকনেতা জহির উদ্দিনকে আক্রমণের ঘটনায় জেলাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ, ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতি সহ বিভিন্ন দল-সংগঠনের নেতৃবর্গ ছাড়াও বিশিষ্ট নাগরিকরা হাইলাকান্দি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। এদিন, আইনজীবী মুফজ্জ্বল হোসেন বড়ভূইয়া, হজ্ব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ আবুল হুসেন মাঝারভূইয়া, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন লস্কর, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির জেলা সভাপতি শরিফ উদ্দিন মাঝারভূইয়া, ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় সহকারী সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন লস্কর, জেলা সভাপতি মাঞ্জার আহমদ বড়ভূইয়া সহ বিভিন্ন দল-সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী সদর থানায় উপস্থিত হয়ে প্রাণঘাতী হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানান। তারা প্রত্যেকেই তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, সংখ্যালঘু ছাত্রবৃত্তি কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের হাইলাকান্দি পুলিশ-প্রশাসন রক্ষণাবেক্ষণ না দিলে প্রতিবাদীদের প্রাণঘাতী আক্রমণের শিকার হতেন না। এদিকে, কৃষক মুক্তি, ছাত্র মুক্তি, অসম জাতীয়তাবাদী যুব-ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দরা সাফ জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু ছাত্রবৃত্তি কেলেঙ্কারির বিরোদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।