শিলচর মেডিক্যাল কলেজ থেকে হেঁটে বাড়ি চলেগেলেন ৩কোভিড পজিটিভ রোগী
দিদারুল ইসলাম, করিমগঞ্জ আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ৮ জুলাই ২০২০ বুধবার
সরকারি অ্যাম্বুলেন্সেই তাঁদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ স্বামী-স্ত্রী আর ১৫ মাসের শিশু৷ সারা রাত করিডরেই বসে রইলেন মনীশ কুমার, সুধা সিং ও সানভি শুভ্রা৷ সোমবার রাত ৭টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যেই শিশুকোলে অপেক্ষায় তাঁরা৷ শেষে অধৈর্য হয়ে রাত ৩টায় তাঁদের দ্রুত ভর্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান৷ অভিযোগ, রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী তাদের জানান, তিনজনই নেগেটিভ৷ সেখানে দাঁড়িয়েই তাঁরা স্বাস্থ্যকর্তাদের দোষারোপ করেন৷ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেই তাঁরা কোভিড ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েন৷রাত তিনটাতেই ১৫ মাসের শিশুটিকে কোলে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ থেকে হেঁটে রাঙ্গিরখাড়ি ভোলাগিরি আশ্রম রোড স্থিত বাড়িতে চলে আসেন৷ মঙ্গলবার ভোরে আবার অ্যাম্বুলেন্স যায় বাড়ির গেটে৷ নেগেটিভ নন তাঁরা, পজিটিভই—-এই কথা জানিয়ে ফের তুলে নিয়ে আসে৷ বিহারফেরত পরিবারটি এখন শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে৷
এই ঘটনায় প্রচণ্ড বিরক্তি প্রকাশ করেন মনীশ কুমার ও তাঁর ঘনিষ্ট জনেরা৷ শহরের সচেতন জনতার মধ্যেও বিষয়টি তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়৷ মনীশবাবুর এ সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্ট এ দিন ভাইরাল হয়৷ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন চৌধুরী বিভাগীয় গাফিলতির কথা স্বীকার করে নেন৷ তিনি জানান, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ কয়েকজনকে শো-কজ করা হয়েছে৷কিন্তু কীভাবে ঘটে গেল এমন এক একটি ঘটনা? সুমনবাবুর কথায়, যে ভাবে ছড়ানো হয়েছে, ব্যাপারটা তেমন নয়৷ মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছিল৷ এর মধ্যে কম্পিউটার লিঙ্ক ছিল না অনেকটা সময়৷ ফলে মুশকিল হয় ভর্তি করাতে৷ এরই মধ্যে মনীশকুমার গিয়ে তাদের নানা কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকেন৷ রেজিস্ট্রেশনের কাজে ব্যস্ত এক কর্মী তাঁকে পজিটিভ কিনা জানতে চাইলেই ক্ষেপে ওঠেন৷ নিজেদের নেগেটিভ দাবি করে হইচই করতে করতে বেরিয়ে যান৷ পরে সকালে তাদের আবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়৷