আসামের দুটি পেপার মিল চালুর দাবী, ভোট বয়কটের ডাক কর্মচারীদের
আবুল সাহিদ , শিলচর আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
গেরুয়া শিবিরে একের পর এক হেভিওয়েট নেতাকে শিবিরে টেনে নেওয়ার পাশাপাশি একেবারে তৃণমূলস্তরে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব, বাঙালির মন পেতে বিজেপির ব্লু-প্রিন্টে ঠাঁই পেয়েছে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, নাগরিকত্ব বিল এবং এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যু।বরাকের পাঁচগ্রাম এবং জাগিরোড পেপার মিল বন্ধ প্রায় ৫ বছর। হিন্দুস্থান করপোরেশনের অধীন মিল দুটি খোলার ব্যাপারে বিজেপি মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলো। তাই এবার শ্রমিকরা নির্বাচনে ভোট বয়কট করবে ‘পেপার মিল রিভাইভাল অ্যাকশন কমিটি’। বরাকের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত, লকডাউনে থাকা পেপার মিল সহ অন্যান্য এলাকায় মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে, বিনা ভোটের সরকার এসব মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা আরও বলেন
নিন্দুকেরা যাই বলুন না কেন, কথা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কথা দিয়েছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘ধোঁয়া নিকালকে দেখাউঙ্গা’। ২০১৪ সালেই কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ২০১৬-তে অসমেও তৈরি হয়েছে তাঁদের সরকার। কথা রেখেছেন মোদি ও তাঁর জুনিয়র সর্বানন্দ সোনোয়াল।
ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তবে বুঝতে ভুল করেছিলেন পেপার মিলের শ্রমিকরা তাঁরা ভেবেছিলেন, কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বেরোবে। এখন এদের শ্মশানঘাটে চুলা থেকে আগুন বের হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন বিজেপি বলেছিল, চাঙ্গা করা হবে। তারা ক্ষমতায় আসতে দুটি কাগজ কলের কর্মীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন, চাঙ্গা হবে কাগজ কল। হয়নি। তারা বলেন, এক সময় বরাকের পাঁচগ্রাম আর নগাঁও দুটি পেপার মিলের কারণে বেশ সরগরম ছিল। স্বচ্ছলতা এসেছিল আশপাশের গ্রামগুলিতেও। এখন সেখানে শুধুই শূন্যতা। ২০২১ নির্বাচনে চিতা বা চিমনি, সেদিনই ঠিক হবে মোদির ধোঁয়া বার হবে কোথা দিয়ে।