মালদা শহরের টোটো বিস্ফোরণের রহস্য নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ প্রশাসন
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৭:৫২ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
প্রতীকী ছবি
মালদা শহরের টোটো বিস্ফোরণের রহস্য নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ প্রশাসন।আগামীকল ফরেন্সিক টিম,সিআইডি সহ গোয়ান্দা বিভাগের কর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবে। ঘটনার পর এলাকা এখনো থমথমে। আতঙ্কে এলাকাবাসী। কম্পনের তীব্রতায় পুলিশ কর্তাদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। এখনও বিস্ফোরণে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাওয়া মৃত যুবকের পরিচয় জানা গেছে। নাম মহঃ ইশিয়াস। বাড়ি কালিয়াচক থানার ব্রক্ষ্মত্ব গ্রাম। গতকাল রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে মালদা ইংরেজবাজার পুর এলাকার ঘোড়াপীড়ের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন মধুঘাটের এক কারখানায়। মৃতের আত্মীয় জানান ১২দিন আগে নতুন ব্যাটারি লাগানো হয় গাড়িতে। উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মূর্মূর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল ঘটনা স্থলে গিয়ে।
উত্তর মালদার বিজেপির সাংসদ খগেন মূর্মূ দাবী করেন ব্যাটারির বিস্ফোরণ নয় । টোটোতে বিস্ফোরক ছিল। এনআইএ তদন্ত দাবী করেন। রাজ্যের পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই।টোটো বিস্ফোরণে মৃত্যু ইলিয়াস আলী। প্রায় দু'বছর ধরে সে টোটো চালক এর কাজ করতেন। খুব দরিদ্র পরিবার। পরিবারের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই পরিবারটি। বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধ মা বাবা ও তার স্ত্রী খাদিজা বিবি। তাদের একটি আট (8)মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। পিতা আতাবুল শেখ বছর দুয়েক আগে ছেলেকে নিয়ে জমি জায়গার চাষবাস করে সংসার চালাতেন। বাড়িতে হাল বলদও ছিল। কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ায়, হাল বলদ বিক্রি করে দিয়ে ছেলেকে একটি টোটো কিনে দেন। এলাকায় বিশ্বাসী ও সরল ছেলে হিসেবে পরিচিত ইলিয়াস আলী। এলাকার একটি প্লাইউড কারখানায় কাজ করতেন। ওই কারখানায় ওয়াটার হো মাল গুলি বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি টোটো করে পৌঁছে দিতেন ইলিয়াস আলী। এদিন সকালেও মাল বোঝাই করে প্রথম গাজোল যান। তারপরে মালদার মালঞ্চ পল্লীতেও প্লাইউডের তৈরি দরজা পৌঁছে দেন। তারপরেই বাঘ বাড়ির একটি কারখানা থেকে কাঁচামাল নিয়ে ফেরার পথে বিস্ফোরণ ঘটে।