মাইনোরিটি স্কলারশিপে ভিন্ন ধর্মীয় ভুয়ো ছাত্র-ছাত্রী ও ভুয়ো নথি
আবুল সাহিদ , শিলচর আসাম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:২৭ এএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
২০১৮-১৯ বর্ষের সংখ্যালঘু ছাত্র বৃত্তির টাকা আত্মসাৎ কাণ্ডে জড়িত আসামের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সঙ্গে বরাকের তিনটি জেলায়ও কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি জনসম্মুখে আসছে । বুধবার বদরপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এডুলেন্ড স্কুলে, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করে বলেন, -২০২০ ইংরেজি থেকে হাইলাকান্দি জেলায় প্রথম দূর্নীতির পর্দা ফাঁস করা হয়। হাইলাকান্দির আই এস রাজিব ঝার নেতৃত্বে সংখ্যালঘু স্কলারশিপের ২০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি জনসম্মুখে আসার পর বরাকের ছাত্র সমাজের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি। যারফলে করিমগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক ভাবে তদন্ত আরম্ভ করা হয়। যার ফলে বিশিষ্ট ছাত্রনেতা আব্বাস এবং সাব্বির আহমেদ ও বদরপুরের বিশিষ্ট যুবক এনাজ হুসেইন এরনেতৃত্বে প্রায় ৫ কোটির অধিক ছাত্রবৃত্তির তথ্য জনসম্মুখে আসে। যাদের মধ্যে রেল শহর বদরপুর সহ করিমগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন স্কুলে ভিন্ন ধর্মীয় ভুয়ো ছাত্র-ছাত্রী ও ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে । প্রাপ্ত খবর ও বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী হাইলাকান্দির কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকা দুষ্কৃতীরা করিমগঞ্জ জেলার আই এস বিষয়ার ছত্রছায়ায় জেলার একটি বিলাসবহুল হোটেল ভাড়া করে এই বৃহৎ কেলেংকারির কাজ সম্পন্ন করা হয়। এরকম তথ্য সামনে আসার পর করিমগঞ্জের আই-এস এবং নোড়াল অফিসারকে অভিযুক্ত করে "ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া" "ফেটারনেটিভ মুভমেন্ট" "স্টুডেন্টস ইসলামীক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া" সংগঠনেরা। মিনিস্ট্রি অফ মাইনরিটির তথ্য অনুযায়ী টেনসর বদরপুরের কালাইরবন্দ স্কুলের প্রায় দেড়শ ছাত্র-ছাত্রীর নাম অন্তর্ভূক্ত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এর তথ্য অনুযায়ী তিনি একটি ছাত্রীর জন্যই ছাত্র বৃত্তির আবেদন করেন। কিন্তু তাৎপর্যের বিষয় যে দেড়শ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ১০ টি ছাত্র-ছাত্রীরা হিন্দু এবং পিতা মুসলিম পাওয়া যায় এবং প্রত্যেকের একাউন্টে দশ হাজার সাতশো করে টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যারা প্রকৃতপক্ষে মাইনরিটি তাদের একাউন্টে একটি টাকা কড়িও ঢুকেনি। এদিকে, স্কলারশিপ প্রাপকদের তালিকায় বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও সিএসপিতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে ।ওইসব একাউন্ট কোন ব্যাংকের কোন শাখায় করা হয়েছে তার তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, সিএসপি কর্তৃপক্ষকে তদন্তের আওতায় এনে গ্রেফতার করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে ।স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির সাথে সরাসরিভাবে ব্যাংক সিএসপির একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানান ।ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা জানান, জেলায় মাইনরিটি স্কলারশিপের নামে কয়েক জন অধিকারীক বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে যার ফলস্বরূপ নীরিহ শিক্ষার্থীদের ভোগ করতে হয়েছে।এভাবেই জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের নামে এই বৃহৎ কেলেঙ্কারির কাজ সম্পাদন করা হয়। এ বিষয় নিয়ে যেনো উপযুক্ত তদন্ত করা হয় ।এবং এর সাথে সাথে উপযুক্ত ছাত্র ছাত্রীরা তাদের প্রতিটি ন্যায্য টাকা পায় সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে বৃহত্তর ছাত্র সমাজ ও সাংগঠনিক কর্তারা তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে এবং প্রয়োজন হলে তারা গণ-স্বাক্ষর ও গণ আন্দোলন করতেও দ্বিধাবোধ করবে না বলে জানান ক্যাম্পাস ফন্ট অফ ইন্ডিয়ার
মোহাম্মদ আব্বাস, করিমুল বারী, সাব্বির আহমেদ, তাহের আহমেদ, এনাজ হুসেন প্রমুখ.