বর্ষা শুরুতেই পাহাড়িনদীর জলস্রোতে ভেসে গেল চালকসহ গাড়ি
সংবাদদাতা মালবাজার
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ৩১ মে ২০২০ রোববার
বর্ষা শুরুতেই পাহাড়িনদীর জলস্রোতে ভেসে গেল চালকসহ গাড়ি ও নির্মাণ সামগ্রী।
সংবাদদাতা,মালবাজার,৩১মে। সবে বর্ষা শুরু হয়েছে। সেই বর্ষা শুরুতেই পাহাড়ি নদীর জলস্রোতে ভেসে গেল চালক সহ পিকআপ ভ্যান ও নির্মাণ সামগ্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মাল ব্লকের ওদলাবাড়ির কাছে ঘিস নদীতে। গতকাল রাতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে মালবাজার মহকুমায় এবং পাহাড়ি এলাকায়। রাতের দিকে বেশ কিছু নদীর জল বেরে যায়।
মাল ব্লকের ওদলাবাড়ির কাছে ঘীস নদী সংলগ্ন রেলের জল যাবার আন্ডার পাশ দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে প্রবল বেগে ঘীস নদীর জল প্রবাহিত হতে থাকে। রাত ১০ টা নাগাদ সেই জল ৩১ নাম্বার জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জানা গেছে গত ২৭ তারিখ থেকে এই এলাকায় রেলের জল যাবার আন্ডারপাশে কাজ করছিল এক ঠিকাদার সংস্থা। সেই জন্য আন্ডারপাশে কাছেই রাখাছিল ছোট গাড়ি, জেনেরেটার এবং তিন টি মিস্কচার মেশিন। অতিরিক্ত বৃষ্টির জলে হঠাৎ জল বেরে যায় এলাকায়। আর তাতেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় তিনটি মিক্সার মেশিন, একটি পিকাপ ভ্যান এবং ১০০ বস্তা সিমেন্ট৷ ভাসিয়ে নিয়ে যায় পিকাপ ভ্যানের চালককেও। তবে পিকাপের চালক এক কিলোমিটার দূরে ভেসে গিয়ে কোন ভাবে প্রানে বাচে। ক্ষতি হয়েছে রেলের আন্ডার পাশের এক সাইডের গার্ড ওয়ালের লোহার জালি ও পাথরের বাঁধের ।
ঠিকাদার সংস্থার সুপারভাইজার পার্থ ভগত বলেন, আমরা দিন রাত এখানে কাজ করছিলাম। কালকে রাতেও কাজ হচ্ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারনে হঠাৎ জল বেড়ে যায় এবং ভাসিয়ে নিয়ে যায় গাড়ি, মিক্সার মেশিন এবং সিমেন্ট। বহু টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। রাতভোর আতঙ্কে দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি। সকালে জল কমলে খোজাখুজি শুরু করি।
উল্লেখ্য, ঘিস নদীর রেল লাইনের নিচে জল যাওয়ার আন্ডারপাশে মাঝেমধ্যে বৃষ্ঠি হলে প্রবল জল বইতে থাকে। গত বছরও এরকম ঘটনা ঘটেছিল।
সকাল থেকে জেসিপি দিয়ে গাড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হচ্ছে। আকাশের যা অবস্থা তাতে আজ নতুন করে কাজ করা মুশকিল।
উল্লেখ্য এই রেলের আন্ডার পাশ বছর দুয়েক ধরে এই ঘীস নদীর জলে ক্ষতি হচ্ছে। সেই কারনে এই রেলের আন্ডারপাশ ঠিকঠাক করার কাজ চলছিল। কিন্তু বারে বারেই ঘীস নদীর তীব্র জলের শ্রোতে ক্ষতি হচ্ছে এই আন্ডার পাশের কিছু অংশ।