গ্রাম গঞ্জের চিত্র
লংঘন হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব
জব্বার আলী, ইসলামপুর
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:৩২ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০ শনিবার
সামাজিক দূরত্বের বালাইষাট।দেশ জুড়ে এই সংকটের মুহূর্তে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে আদৌ যে পরোয়া করছে না গ্রামবাসীরা তা পরিষ্কার হয়ে গেল রানীগঞ্জের কয়েকটি দৃশ্য দেখেই ।
গ্রামে গেলেই প্রতিদিন এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে। রোজই সরকারিভাবে সচেতন করেও লাভ হয়নি কিছুই। করোনা ভাইরাসের জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক ভাবে একটু দূরত্ব অবলম্বন করতে বললেও সেসব নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যে সঠিকভাবে সামাজিক দূরত্ব পালন করা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেই রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর কে এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দেয়া হয়েছে।
কিন্তু এদিন ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা এক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামের খুব খারাপ চিত্র ।একজনের উপর আরেকজন যেন রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।কেউ এসেছেন গ্যাস সিলিন্ডার নিতে আবার কেউবা গ্যাস বুক করতে। তাই বলে কি এই লক ডাউনের মুহূর্তে সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করবে না কেউ? এই প্রশ্ন উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের তরফেই। শুধু সামাজিক দূরত্বই বা কেন। অনেকের মুখে যেমন মাস্ক নেই, তেমনি সেখানে নেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও। এসব নিয়ে গ্যাস ডিলার কোনো মন্তব্য করতে চাননি ।। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিলার এর তরফে কর্মরত জনৈক ব্যক্তি জানান, বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হঠাৎ করে ভিড় হলে আমরা কি করতে পারি। পাশাপাশি এদিন তাদের তরফে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে মাটিকুন্ডা -1 গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই এলাকারপঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ পাল জানান,এটা ভুল করেছে গ্যাস ডিলার কর্তৃপক্ষ। তবে তিনি এর দায় প্রশাসনের উপরই চাপিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ দেশে এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে এখনও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয় বলে জানান তিনি । এবং প্রশাসনকে আরও বেশী কঠোর হতে হবে বলে তিনি দাবি করেন।