দেশে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন
পরিযায়ী শ্রমিক সমাগম ইসলামপুরে ,আতঙ্ক
জব্বার আলী, ইসলামপুর
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২০ সোমবার
করো না আতকাতে গোটা দেশে যখন চলছে লকডাউন ঠিক সেই মুহূর্তে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে শাসকদলের বিধায়কদের চিঠি নিয়ে ইসলামপুরে পৌঁছল একাধিক যাত্রীবাহী বাস। ঘটনার জেরে আশ্চর্যজনকভাবে প্রশাসন থেকে পুলিশ কর্তা উভয়ই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এদিকে চার শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার চাপে জেরবার ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল। পাশাপাশি লকডাউনের নিস্তব্ধতা কাটিয়ে আচমকা এতো মানুষ ঢুকে পড়ায় আতঙ্কিত শহরবাসী। সোমবার সকালে আটটি যাত্রীবাহী বাস চার শতাধিক মানুষ নিয়ে ইসলামপুর পৌঁছায়। ইসলামপুর থানার সামনে পুলিশ ওই বাসগুলিকে আটকায়। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চোখ কপালে ওঠা সব উত্তর। যাত্রীরা জানিয়েছেন সোনারপুর সহ কোলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁরা এই বাসগুলিতে কেউ এক হাজার কেউ দেড় হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে এসেছেন। চালকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ভাড়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না। বাসের মালিক ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দিলীপ মন্ডলের চিঠি দিয়ে পাঠিয়েছেন। কেউ আবার আব্দুল হক মোল্লা বিধায়কের চিঠি দেখিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকারের জেলা সীমান্ত সিল করার নির্দেশের পরেও শাসকদলের বিধায়করা কোন আইনে চিঠি দিয়ে এতগুলো বাস পাঠালেন? কোলকাতা থেকে এতগুলি জেলার প্রশাসনই বা কেন এই বাসগুলিকে আটকালো না? উত্তর দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন বা ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার কি ওই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সাহস দেখবেন? এই লকডাউনের সময়ে চিঠি গুলিও সংশ্লিষ্ট বিধায়করাই ইস্যু করেছিলেন কি না সেনিয়েও বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে ইসলামপুরের মহকুমা শাসক খুরশিদ আলম কিছুই বলতে চাননি। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার শচীন মক্কর ফোন ধরেননি ও হোয়াটসআপ মেসেজেরও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ মীনাকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ওই বাসিন্দাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক। এখন দেখার পরিযায়ী শ্রমিকরা কতটা মেনে চলেন কোয়ারেন্টাইন এর নিয়ম কানুন ।