লকডাউনের প্রথম দিন আলগাপুরের বিভিন্ন স্থানে স্তব্দ পরিবেশ
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:৪০ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২০ বুধবার
লকডাউনের প্রথম দিন আলগাপুরের বিভিন্ন স্থানে স্তব্দ পরিবেশ, শুনশান রাস্তাঘাট
বুধবার মধ্যরাত থেকে জনশূন্য ১৫৪ নং জাতীয় সড়ক সহ জেলার সবগুলো রাস্তাঘাট ও হাটবাজার। দু’একটি মুদির দোকান এবং ফার্মাসী সহ হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি গাড়ি ছাড়া রাস্তায় নামেনি কোনও গণপরিবহণ। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোটা দেশের সঙ্গে হাইলাকান্দিতে চলছে লকডাউন। সাতসকালে আলগাপুর বাজারে দু’একটি দোকান খুললেও দেখা যায়নি ক্রেতার। সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ফাঁকা। সব দোকান বন্ধ। রাস্তায় লোক নেই বললেই চলে। এমনকি জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ, একে বারে জনশূন্য জেলার সমস্ত রাস্তাঘাট সহ হাটবাজার। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদির দোকান, সব কিছুই বন্ধ। কেবলমাত্র আলগাপুর বাজারের কয়েকটি ঔষধের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীর কাছে হাত জোড় করে ২১ দিন লকডাউন পালনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাত ১২ ঘটিকা থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত দেশজুড়ে বহাল থাকবে লকডাউন। প্রথম পর্যায়ে ১৪ ঘণ্টা চলবে এই কার্ফু। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নির্দেশ মতে মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে জনতার কাছে স্বেচ্ছায় ঘর বন্দি থাকার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতেই জনগণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অনেকের মতে, এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। লকডাউন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সতর্ক থাকুন, নিজে বাচুঁন অন্যকে বাঁচান। আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাড়িতে থাকাই কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, আপনি যে শহরে রয়েছেন সেখানেই সতর্ক থাকুন। অহেতুক সফরে আপনার বা অন্যদের কারও লাভ হবে না। এই সময়ে আমাদের প্রতিটি ছোট পদক্ষেপও বড় মাপের প্রভাব ফেলতে পারে।’’এদিকে এই লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্ৰামেগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব দেখা দেওয়ায় প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।