স্কুল ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ
হক নাসরিন বানু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:৫৩ এএম, ২৪ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার
স্কুল ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ।
এক স্কুল ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ প্রাক্তন-সহ স্বামী তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিরা পলাতক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কালিয়াচক থানা এলাকার। মৃত মহিলার নাম রুফসেনা খাতুন(২০)। কালিয়াচক থানার লোহাটোলার চরবাবুপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। একই গ্রামে তাঁর বাবারও বাড়ি। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সামিম আক্তার। বছর তিনেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের ২ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। বছর খানেক আগে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে তাঁরা আলাদা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রুফসানাকে বৈষ্ণবনগর থানার কালীনগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি মাসি চাঁদতারা বিবির কাছে থাকতেন। স্থানীয় কেবিএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। জানা গেছে, শনিবার রাতে প্রাক্তন স্বামী কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আসেন মাসির বাড়িতে। সেখানে রুফসেনাকে সঙ্গে আবার সংসার করার কথা বলে নিয়ে যাতে চায় সে। কিন্তু মাসি তাঁকে আলোচনা ছাড়া কিছুতেই পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। মাসির কথায় তখনকার মতো অভিযুক্তরা ফিরে এলেও পরে রুফসেনাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মাসরুফা মাসিকে কিছু না জানিয়ে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে তার বাড়ি চলে যান। প্রাক্তন স্বামী বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গণ ধর্ষণ চালায় বলে অভিযোগ। তার বাড়িতেই ঘটনাটি ঘটে। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘরেই বেশ কয়েকটি মদের বোতলও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণের আগে মদ্যপান করে অভিযুক্তরা। মৃতার বাবা ইশা শেখ অভিযোগ করে বলেন,‘জামাই খুব অত্যাচারী ছিল। কোনও নেশা তার বাদ ছিল না। মেয়ের ওপর অত্যাচার করত বলে আমরা বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে নিই। এর পরেও জামাই কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গিয়ে এমন নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করছি।’ সোমবার রুফসেনার দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিক্যালের মর্গে। পুলিশ ঘটনার পর অভযুক্ত প্রাক্তন স্বামী সামিম আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ। বাকিদের খুঁজছে পুলিশ।