হাট বন্ধের খবরে বাজারে কেনাকাটার ভীড় ডুয়ার্সের সর্বত্র
সংবাদদাতা মালবাজার
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:২৭ পিএম, ২১ মার্চ ২০২০ শনিবার
হাট বন্ধের খবরে বাজারে কেনাকাটার ভীড় ডুয়ার্সের সর্বত্র শুরু কালোবাজারি।
হাট বন্ধের খবরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন বাজার ও দোকানে কেনাকাটার ভীড় উপছে পড়ল। একই দৃশ্য দেখা গেল মাল মহকুমা এলাকার মালবাজার, ওদলাবাড়ি, নাগরাকাটা, মেটেলি সহ সর্বত্র।
করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসীকে বাঁচতে প্রাথমিক ভাবে জনতা কার্ফু পালনের অনুরোধ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ২২ মার্চ রবিবার ছুটির দিনে বাড়ি থেকে একান্ত প্রয়োজন ছারা বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
রবিবার ডুয়ার্সের চাবাগান অধ্যুষিত এলাকায় হাট বার হিসাবে প্রচলিত রয়েছে শতাব্দী কাল ধরে। ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা সাপ্তাহিক কাজের শেষে এই রবিবার সাপ্তাহিক প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনাকাটা করে। জনতা কার্ফু ঘোষণার পর থেকে প্রশাসন বিভিন্ন হাট কমিটিগুলির সাথে কথা বলে হাট বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে। ওদলাবাড়ি হাট বন্ধের ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাল, লুকসান হাট বন্ধের কথা ঘোষণা হয়। এতেই সমস্যায় পড়ে শনিবার সবাই কেনাকাটা করতে বিভিন্ন বাজারে ভীড় করে। এদিন সকালে মালবাজার ডেইলি মার্কেটে গিয়ে দেখা গেল মুদিখানার ও সবজির দোকানে। আগামী এক সপ্তাহের আনাজপাতি চাল ডাল তেল তো কিনতে ভীড় করছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে মেটেলি, ওদলাবাড়ি বাজারে। শ্রমিক নেতা পুলিন গোলদার বলেন, বাজার বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের তো সমস্যা তো হবেই। তবু পরিস্থিতির কথা ভেবে শ্রমিকদের নুন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বলা হয়েছে।
সোনগাছি চাবাগানের ম্যানেজার রাধেশ্যাম খান্ডেলওয়াল বলেন,জনতা কার্ফু ঘোষণার পর শ্রমিকদের নিয়ে গতকাল মিটিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শ্রমিকদের দুটোর পর বাজারে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে বাজারে ভীড় হওয়ার ফলে শুরু হয়েছে কালোবাজারি। জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু হয়েছে। মাল ডেইলি মার্কেটে চালের দাম ১ থেকে ২ টাকা বেশি বিক্রি হয়েছে। সবজির দামও বেড়েছে। মেটেলি বাজারে দেখা গেল ২৫ কেজির চালের প্যাকেট অতিরিক্ত ১০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। গতকাল যে বাঁধাকপি ৫টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে আজ সেটা ২০টাকা কেজি। মেটেলি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি কুমার থাপা বলেন, এই বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত। একই দৃশ্য দেখা গেছে ওদলাবাড়ি ও নাগরাকাটাতে।
এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে মাল মহকুমা শাসক শান্তুনু বালা বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেরকম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।