সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালবাজার শহরের উপকন্ঠে শকুনের দেখা উচ্চাসিত পরিবেশ প্রেমী

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

মালবাজার শহরের উপকন্ঠে আবার দেখা গেল এক ঝাক হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনের। এতেই উচ্ছাসিত পরিবেশ প্রেমীরা। পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে বনবিভাগের কর্মীরা। 
 মালবাজার শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পুস্পিকা বালিকা বিদ্যালয়। এর পরই শুরু নিউগ্লেনকো চাবাগানের সীমানা। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এক পাহাড়ি ঝোড়া।শুক্রবার সকালে এই চাবাগানে ঝোড়ার পাশে দেখা গেল এক ঝাঁক হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনের। দীর্ঘদিন বাদে শহরের উপকন্ঠে শকুনের দেখা পাওয়ায় উচ্ছাসিত পরিবেশ প্রেমীরা।শহরের উপকন্ঠে এই এলাকায় চিতাবাঘের উপদ্রব আছে।মাঝে মধ্যেই অর্ধভুক্ত গরু ছাগলের দেহ পাওয়া যায়। সম্ভবত সেইরকম কোন কিছু পেয়ে শকুনের দল হাজির হয়েছে। মালবাজার শহরের 
পরিবেশ প্রেমী সংস্থা মাউন্টেন ট্রেকার ফাউন্ডেশনের সম্পাদক স্বরুপ মিত্র বলেন, এটা পরিবেশের পক্ষে খুব ভালো খবর। মাঝে বিরল হয়ে উঠেছিল। এখন স্বাভাবিক বিচরণ করছে। পরিবেশের ভালো দিক। গত বুধবার নিউমাল রেলস্টেশন সংলগ্ন শুখাঝোড়া নদীতেও এভাবে দেখা গিয়েছিল। 
ওদলাবাড়ির পরিবেশ প্রেমী সুজিত দাস বলেন, গত মাসে রাজগঞ্জে দেখা গিয়েছিল এক ঝাক শকুনের। তারপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারী লিস নদীর চরে জলসাবস্তির পাসে শকুনের দেখা পাওয়া যায়। গত সপ্তাহে ঘিস নদীর ধারে রেললাইনের উপর শত শত শকুন দেখা।সম্ভবত রেলের ধাক্কায় কোনো গরু মরে পড়েছিল। সেখানেই খাবারের খোঁজ হাজির হয়। এনিয়ে আমরা রেল দপ্তরকে চিঠি দিয়ে রেললাইনে পড়ে থাকা মৃত প্রানী সরিয়ে দিতে অনুরোধ করবো। কারণ গত বছর গুলমা রেলস্টেশনের কাছে এইরকম ভাবে খাবারের খোঁজে এসে রেলে কাটা পড়ে বেশকিছু শকুন মারা গিয়েছিল। 
এনিয়ে মালের বন্যপ্রান শাখার রেঞ্জার বিভুতি ভুষন দাস বলেন, আমাদের লোক ওখানে আছে। নজর রেখে চলছে। 
বক্সা শকুন প্রজনন কেন্দ্রের ফিল্ড ডাইরেক্টর সাম্য রায়চৌধুরী বলেন, এগুলো হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির। পাহাড়ের অনেক উচুতে থাকে। খাবারের খোজে নিচে এসেছে। আমরা পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছি।