শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

করোনা থাবা ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে অনেক বুকিং বাতিল বহু লজ পর্যটক

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩২ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২০ রোববার

করোনার থাবা ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে। অনেক বুকিং বাতিল বহু রিসর্ট ও লজ প্রায় পর্যটক শূন্য। ডুয়ার্সে এখন পর্যটনের মরসুম। অন্যান্য বছর গুলিতে এই সময় মালবাজার, চালসা, ধুপঝোড়া লাটাগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার লজ ও রিসোর্ট গুলিতে গমগম করে। এবছর কিন্তু, সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছেনা। বেশির ভাগ লজ গুলিতে পর্যটকদের সংখ্যা সামান্য। অনেক রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানাগেছে, বহু বুকিং বাতিল হয়েছে। 
পর্যটনের মরসুমে গত ১২ থেকে ১৪মার্চ উত্তর বাংলার বনাঞ্চলে তৃনভোজী প্রানী সুমারির জন্য বনের দরজা বন্ধ ছিল পর্যটকদের কাছে। এতেই হতাশ হয়ে অনেক পর্যটক ফিরে গেছে। তার উপর রয়েছে করোনা আতংক। এই আতংকে বহু পর্যটক ডুয়ার্সের ঠান্ডা পরিবেশে আসতে চাইছে না। বাতিল করছে বুকিং।  
মালবাজার শহরের লজ মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ী দীপশংকর চ্যাট্টার্জী বলেন, বুকিং বাতিল বলা যাবে না। মার্চ মাসের কয়েকটি বুকিং ছিল তারা মে মাসে পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া এখান থেকে অনেকে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু, পুরি ভুবনেশ্বরে হোটেল গুলি বুকিং নিচ্ছে না। ফলে স্থানীয় পর্যটক বাইরে যেতে পারছে না। দেখা যাক এই সমস্যা কত দিন থাকে। 
চালসা শালবাড়ি এলাকার এক রিসোর্ট মালিক জিয়াউর রহামান বলেন, আতংক কিনা জানিনা।তবে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়েছে। তাছারা পর্যটকদের আমদানি বেশ কম। কেন হচ্ছে জানিনা। 
এই রকম ভাবে দেখা গেল বহু রিসর্ট খাঁ খাঁ করছে। অনেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বুকিং করেছিল কিন্তু,আসেনি। অনেকে দিন পরিবর্তন করেছে। এতেই হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। চালসার এক রিসোর্ট মালিক জানান, চারিদিকে আতংক ছড়িয়েছে। তার ফল কিছুটা তো পড়বেই। রবিবার দেখা গেল অনেকেই ৫ দিনের বুকিং থাকলেও দুদিন থেকেই চলে যাচ্ছে।
এরকম অনেক রিসোর্ট এলাকায় দেখা গেছে। বাস্তবে ডুয়ার্সের  পর্যটন ব্যবসা চলে অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত। ১৪ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বনের দরজা বন্ধ থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন পর্যটন শিল্পের ভরা মরসুম। এখন এই অবস্থা হলে পর্যটন ব্যবসা ধাক্কা খাবে বলে সবার অনুমান।