রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ওদলাবাড়ির জনবহুল কলোনিতে চিতাবাঘের আতংক ছড়াল

দেবজ্যোতি মুখার্জী

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:২৩ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

এতদিন চা বাগান ও গ্রামীণ এলাকায় চিতাবাঘের উপদ্রব দেখা গেছে। এবার সেই আতংক ছড়িয়ে পড়ল মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি শহরের জনবহুল কলোনিতে।                     
শুক্রবার  সকাল ১১ টা নাগাদ মজুমদার কলোনি  এলাকার বাসন্তি রায়ের বাড়ি পেছনে ঘাপটি মেরে বসেছিল বিরাট আকারের চিতাবাঘটি। আর এতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। তড়িঘড়ি এলাকার মানুষ গৃহবন্দী হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় মালবাজার বন দপ্তরকে। 
এলাকার বাসিন্দা সীমা রায় বলেন এদিন আমি বা ময়লা আবর্জনা বাড়ির পেছনে ফেলতে এসেছিলাম। তখনই দেখি ঝোপের মধ্যে বসে রয়েছে চিতাবাঘটি।  তিনি বলেন, আমি চিৎকার করে বাড়িতে চলে আসি। খবর পেয়ে পাড়ার লোকজন ছুটে আসে ওই বাড়িতে। তবে ততক্ষনে পালিয়ে যায়   চিতাবাঘটি। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে এলাকার পরিবেশ প্রেমী নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির লোকজন। তারা এলাকায় তন্ন তন্ন করে খুজে বেরায় এলাকায়। তাদের বক্তব্য এলাকায় যেহেতু পাশেই মানাবাড়ি চাবাগান  বন্ধ রয়েছে।আগাছায় ভরে গেছে এদিক ওদিক।     সেই কারনে এই চাবাগানে মাঝে মধ্যেই চিতাবাঘ দেখা যায়। আর এদিন খাবারের খোজে সোজা লোকালয়ে চলে এসেছিল চিতাবাঘ টি। তবে মানুষ জনের চিৎকার চ্যাচামেচি তে আবার চাবাগানের মধ্যেই গা ঢাকা দেয় চিতাটি। এলাকার পরিবেশ প্রেমী নফসর আলী বলেন যে জায়গায় চিতাটি দেখা গেছে, সেখানে গরু, ছাগল সব সময় ঘুরে বেরায়। সেই লোভেই চিতাটি এখানে আসতে পারে। 
মালবাজার বন দপ্তরের রেঞ্জার বিভুতি ভুষন দাস,  বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। এলাকায় বন কর্মি পাঠাচ্ছি।। এর আগে এই চাবাগানে বেশ কয়েকবার খাচা পাতা হয়েছিল কিন্তু কোন বারই খাচাবন্দি হয় নি চিতাবাঘ। এরপর আমরা বন্ধ মানাবাড়ি চা বাগান থেকে খাচা তুলে নেই। তবে আবার খাচা পাতা হবে এই বাগানে।
এই ঘটনায় ওদলাবাড়ি মজুমদার কলোনিতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।