সিএনজি অটোরিকশা চালক সাদেকের ‘গরম ওস্তাদ’!
রিকু আমির
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার
প্রকৃতির ‘গরম’সিএনজি অটোরিকশা চালক সাদেক আলী গাজীর ওস্তাদ। এই ওস্তাদই তাকে উদ্ভাবনী শক্তি যুগিয়েছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশার ছাউনিতে লতা জাতীয় জীবন্ত উদ্ভিদ রোপন করে পরিবহনের ভেতর আরামদায়ক করতে।
সম্প্রতি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নবীনগর গ্রামের সন্তান সাদেক আলীর দেখা পাওয়া গেল মিরপুর স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর গেটে।
প্রশ্ন করতেই খই ফোটার মতো সাদেকের মুখ থেকে উত্তর আসে- টিনের চালও গরম হয়, সিএনজির ত্রিপলও গরম হয়। ২০১৫ সালে মারাত্মক গরম হইছিল। গরম থেইকা বাঁচতে এইটা বানাই। আমার ওস্তাদ গরম। গরমই এই কাজ আমারে শিখাইছে।
শুধু নিজ সিএনজি অটোরিকশার ছাউনিতে এ কাজ করে ক্ষান্ত নন তিনি। একইসাথে বৃক্ষরোপনে সচেতনতা বৃদ্ধি, যানবাহন বনায়নের জন্য উপযুক্ত- এমন তথ্যও প্রচার হচ্ছে ওই পদ্ধতির মাধ্যমে বলে মনে করেন সাদেক আলী।
তার কাছ থেকে এই কাজ শিখে এরই মধ্যে কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক তা বাস্তবায়িত করেছেন। সাদেক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনে একটা গাড়ি এমনে সাজাইছে, ঢাকায় আছে ৪টা গাড়ি। এরা আমার কাছ থেইকা শিখছে।
সাদেকের সিএনজি অটোরিকশার ভেতরে প্লাস্টিকের ফুল, ফুলগাছ রাখা। যাত্রীর হেলানের পেছনে প্লাস্টিকের সবুজ ঘাস রাখা দেখা গেছে।
স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানসহ মিরপুর সাত নম্বর সেকশনে বাস করেন সাদেক। ভাড়ায় চালিত অটোরিকশায় এমন করায় মালিক কিছু বলে না?- প্রশ্নে সাদেক বলেন, আগে বলত, এখন প্রশংসা করে।
এফসি/এমটিআই