রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

-চাপাতা তোলার রুমালের জন্য বেঁচে গেল মহিলা চা শ্রমিক

সংবাদদাতা মালবাজার

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

-চাপাতা তোলার রুমালের জন্য বেঁচে গেল মহিলা চা শ্রমিক। 
সংবাদদাতা,মালবাজার ৩ মার্চ: ডুয়ার্সের চাবাগানের মহিলা শ্রমিকরা দু হাতে চাপাতা তুলে পিঠে থাকা কাপড়ের বড় রুমালে জমা করে। সেই  রুমালের জন্য  চিতাবাঘের আক্রমণের মুখে পড়েও বরাত জোরে অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেলেন জনৈক শান্তি রাজবংশী নামের এক মহিলা চা শ্রমিক। মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা এগারোটায় ডুয়ার্সের যোগেশ চন্দ্র চা বাগানের ভকতপুর-৪ নম্বর সেকশনে ঘটনাটি ঘটে।   অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে পাতা তোলার সময় একটি চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়েন ওই শ্রমিক। চিতাবাঘ তার পিঠে ঝাপিয়ে পড়ে। পিঠে চাপাতা ভর্তি রুমাল থাকায়    বাঘের থাবা সরাসরি তাঁর গায়ে না লেগে চা পাতা ভরতি রুমালে লাগায় তিনি অক্ষত থাকেন। তারপর কোনওক্রমে রুমাল ফেলে  চিৎকার করতে করতে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন। বাঘের গর্জন শুনতে পেয়ে অন্যান্য মহিলারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তাঁরাও কাজ ফেলে  বাগানের বাইরে বের হয়ে আসেন এবং রাস্তায় জড়ো হন। বাগানের শ্রমিক মজিদান বিবি, লীলা মহালি, জানান, এদিন একজন শ্রমিকের উপর চিতাবাঘ হামলা করে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে চা পাতা ভরতি রুমাল ও পায়ের চপ্পল ফেলে পালিয়ে নিরাপদ দুরত্বে গিয়ে দাঁড়াই। আক্রান্ত শ্রমিক শান্তি রাজবংশী জানান, চিতাবাঘটি নালার মধ্যে ছিল। আমি দেখতে পাইনি। বাঘের থাবায় যখন রুমালটি পড়ে যায় তখন বুঝতে পারি। তারপর কাঁপতে কাঁপতে কোনো রকমে বাইরে বের হয়ে আসি। বাগানের সহকারী জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সমীর রানা জানান, খাবারের লোভে একাধিক চিতাবাঘ বাগানে ঢুকে পড়েছে। গবাদিপশু মেরে খেয়ে ফেলেছে। কর্মরত শ্রমিকদের উপর হামলা করছে। এর জন্য বাগানের কাজের ক্ষতি হচ্ছে। বন দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি।: এদিকে    মালহাটি বীটের বনকর্মী ফরিদুল হক জানান,  খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে কিছু পাইনি। তবে শ্রমিকদের বাগানে কাজ করতে ঢো