ফের ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাগরণ প্রতিবেদক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফের ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (বানৌজা) শেখ মুজিব ঘাঁটির কমিশনিং, নেভি মিউজিয়াম অ্যান্ড মেরিটাইম ওয়ার্ল্ড এবং তিনটি অঞ্চলের ২২টি বহুতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্বাধীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। এজন্য তিনি একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালাও তৈরি করেছিলেন। আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীকে আরও আধুনিকভাবে করে গড়ে তোলা হবে। যারা দেশের অতন্ত্রপ্রহরী, তাদের পরিবারের সকলেই যেন ভালোভাবে বসবাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই যারা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করবেন, তারা যেন তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারেন। মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেন। সশস্ত্র বাহিনী যেনো বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশ। ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।’
নৌবাহিনীকে সমুদ্রসীমার জন্য কাজ করার এবং ব্লু ইকোনোমির সম্ভাবনা তৈরিতে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌবাহিনীর কথা জাতির পিতার ছয় দফাতেও ছিল। তিনি বলেছিলেন, নৌবাহিনীর ঘাঁটি বাংলার মাটিতেই হতে হবে। তা হয়েছে। আমরা এখন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দেন। কোষাগারে কোনো টাকা ছিল না। এরইমধ্যে তিনি নৌবাহিনীকে গড়ে তোলা এবং সমুদ্র সীমা নির্ধারণের কাজ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা পিছিয়ে পড়ি।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন শুরু করে। সেই সঙ্গে নৌবাহিনীকে ত্রিমাতৃক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। তারই ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক চৌকস। আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ফ্রিগেট। শেখ মুজিব ঘাঁটিও আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কোনো উন্নয়ন করেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়। নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ, আধুনিকায়ন ও তাদের বসবাসের জন্য আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। আজ আপনাদের আবাসিক সমস্যারও সমাধান হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম ও খুলনায় নৌবাহিনীর কয়েটি পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলেন। বহুতল ভবনের ফ্লাট পেয়ে তারা খুব খুশি।
ঢাকার কমান্ডার ফরহাদ ও তার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। আবাসন পেয়ে মিসেস ফরহাদ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। খুলনার মঈন মিয়ার পরিবারের মিসেস মঈন কথা বলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। তাদের দীর্ঘদিনের আবাসন সমস্যার সমাধান হওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনারা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য কাজ করছেন। আপনাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের।
এর আগে, নৌবাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এরপর শেখ মুজিব ঘাঁটির কমিশনিং, নেভি মিউজিয়াম অ্যান্ড মেরিটাইম ওয়ার্ল্ড ও তিনটি অঞ্চলের ২২টি বহুতল ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
/এফসি