বাঁশগাছে ফুল উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা ভয় না পেতে পরামর্শ বিশেষজ
দেবজ্যোতি মুখার্জি
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:২৭ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
দীর্ঘদিন বাদে ফুল এসেছে বাঁশগাছে। শুখিয়ে যাচ্ছে বাঁশের ঝাড়। এতেই উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে চালসা,সাতকাইয়া, বাগাটার বস্তি, কিলকোট,মহাবাড়ি বস্তি এলাকায়। বাঁশগাছে ফুল দেখে একদিকে আশ্চর্য নতুন প্রজন্ম তেমনি উদ্বিগ্ন প্রবীণরা।যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ তারা এই প্রথম বাঁশফুল দেখছে। প্রবীনারা উদ্বিগ্ন নানান আশংকায়।
চালসা, মহাবাড়ি বস্তি, এলাকায় শনিবার ঘুরে দেখা গেল বেশির ভাগ বাঁঁশ ঝাড়ে মেটে রংয়ের ফুল ফুটে রয়েছে। কোন কোন বাঁশগাছ শুকিয়ে গেছে।কেউ কেউ আতংকে গাছ কেটে ফেলেছে। কেউ আবার গাছ বাঁঁচাতে জল দিচ্ছে।বাগাটার বস্তির প্রবীন বাসিন্দা সহরাই উরাও জানান, বাঁশগাছে বহু বছর বাদে ফুল আসে। গাছও মরে যায়। ফল আসার আগে কেটে ফেলতে হয় না হলে অশুভ হয়। মড়ক লাগে এমন কথা বাবারা বলে গেছে।
মহাবাড়ি বস্তির বাসিন্দা সুর্য্য রাই জানান, বাঁশ গাছে ফুল আসে প্রায় ৪০ বছর পর। এটা খাবার লক্ষ্মণ। গাছ কেটে দেওয়া উচিত।
এনিয়ে নাগরাকাটা ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা ডাঃগৌতম ভৌমিক বলেন, এটা শুভ বা অশুভের ব্যাপার নয়।বাস্তবে যা হয় সেটা হলো বাঁশগাছে দীর্ঘবছর বাদে ফুল আসে। ফুল হলে ফল হবে। বাঁশগাছের ফল শুখিয়ে মাটিতে পড়ে। সেই ফল ইদুরের অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য। ইদুর সেই ফল খায়। অত্যাধিক প্রটিন থাকায় ইদুরের বংশবিস্তারের হার বেড়ে যায়। ইদুরের সংখ্যা বাড়লেই ফসলের ক্ষতি। ইদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি মানব সমাজের কাছে ক্ষতিকর। এজন্য অশুভ মানা হয়।
একই কথা জানালেন চালসার পরিবেশ প্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকার। তিনি বলেন, এতে আতংকিত হওয়ার কারণ নেই।বাস্তবে বাশগাছে ৩০ থেকে ৪০ বছর বাদে ফুল আসে। ফুল থেকে ফল হয়। সেই ফল প্রচন্ড শক্ত। একমাত্র ইদুর ছারা অন্য কোন প্রানীর পক্ষে খাওয়া সম্ভব হয়না। এই প্রিয় খাওয়ার খেয়ে ইদুরের প্রজনন ক্ষমতা বেড়ে যায়। দ্রুত বংশ বিস্তার ঘটে। ইদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি কৃষি ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনে। উৎপাদন ঘাটতি হয়। এজন্য সাবেক কাল থেকে এই ঘটনাকে অশুভ মানা হয়। বছর ১২ আগে আসাম, মনিপুর, মেঘালয়ে এই ঘটনা ঘটেছিল। আতংকিত হবার কারণ নেই।
বিশেষজ্ঞরা যতই স্তোত বাক্য দিক না কেন মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে গাছ কাটতে শুরু করেছে।