রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সম্পর্কে টানাপোড়েন

আত্মঘাতী যুবতী

জব্বার আলী ইসলামপুর

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার


বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর সহবাস ও মেলামেশা করার পর পণ হিসেবে দশ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রেমিক। কিন্তু সেই টাকা না দিলে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামে। মৃতা যুবতীর নাম মালা দাস(২৪)। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অভিযুক্ত প্রেমিক অনিমেষ দাস সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতা যুবতীর বাবা মনিমোহন দাস। দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতার পরিবার। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা যুবতী মালা দাসের সাথে ছয়-সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এলাকারই যুবক অনিমেষ দাসের। এরইমধ্যে প্রাথমিক স্কুলের চাকুরি পায় অনিমেষ। অভিযোগ, চাকুরি পাওয়ার পর থেকে প্রেমিকা মালাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে সে। অভিযোগ, বিয়ের কথা বললেই দেরী আছে বলে এড়িয়ে যায় অনিমেষ। শিক্ষকতার কাজের সূত্রে চোপড়ায় থাকতে হয় অনিমেষকে। মালাও হাতিয়া এলাকাতেই একটি বেসরকারি নার্সারি স্কুলে শিক্ষিকার কাজ শুরু করে। তাদের মধ্যে দেখা হলেও অনিমেষ বিয়ের কথা এড়িয়ে যেত। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের লোকেরাই জানত। মালার বাবা মনিমোহন দাস অনিমেষের পরিবারকে মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা দশ লক্ষ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ।

কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকা মনিমোহন বাবু হতোদ্যম হয়ে পড়েন। এতদিনের প্রেম ভালোবাসা ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর প্রেমিক অনিমেষের এই আচরনে অপমানে আত্মঘাতী হয় মালা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাতিয়া গ্রামে। মালার বাবা মনিমোহন দাস অনিমেষ ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।