শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফাগুনের বৃষ্ঠিতে ডুয়ার্সের চা বলয়ে খুশির পরশ। 

সংবাদদাতা

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:০৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

  খনার বচনে বলা আছে, " যদি নামে ফাগুনে চিনা কাওন দ্বিগুনে "। অর্থাৎ ফসল ভালো হওয়ার পূর্বাভাস। কৃষি মাতৃক দেশে ফলন ভালো হবে এটা বড় খুশির খবর। ডুয়ার্সের চা বলয়ে কৃষি ফসল সবুজ কচি পাতা। ফাগুনের এই বৃষ্ঠিতে ভালো চা পাতা হবে ও সেচের খরচ কমবে এমন পরিবেশ তৈরি হওয়ার ফলে চা বলয়ে খুশির পরশ ছড়িয়ে পড়েছে। 
আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল সোমবার থেকে বৃষ্ঠি হবে। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার বিকাল থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্ঠি শুরু হয়। সেই বৃষ্ঠির ধারা বয়ে চলে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত। এতেই খুশির পরশ তৈরি হয়েছে চা মহলে।  
সাইলি চাবাগানের ম্যানেজার বসন্ত কুমার প্রধান বলেন, এই বৃষ্ঠি আমাদের কাছে আশির্বাদ। এই সময় বৃষ্ঠি না হলে নিয়মিত সেচ দিতে হয়। প্রচুর খরচ হয়। সেই খরচ অনেকটা বেচে গেল। 
ডুয়ার্সের অন্যতম প্রবীণ সোনগাছি চাবাগানের ম্যানেজার রাধেশ্যাম খান্ডেলওয়াল জানান, ভালো বৃষ্ঠি হয়েছে। আগামী কয়েকদিন সেচ দিতে হবে না। পোকার উপদ্রব কমবে। ভগবানকে ধন্যবাদ বৃষ্ঠির জন্য। 
মেটেলি ব্লকের ইন্ডং চাবাগানের ম্যানেজার রজত দেব বলেন, ভালো খবর বয়ে এনেছে এই বৃষ্ঠিতে। এই সময় সেচ দিতে গিয়ে প্রতিদিন প্রচুর খরচ হয়। সেটা বেচে গেল। ফাস্ট ফ্লাসের চা ভালো হবে। গুনগত মানও ভালো হবে। 
ডুয়ার্সের অন্যতম উদ্যোগপতি চাবাগানের মালিক তনসুক রায় গোয়েল বলেন, এই ফাগুনের বৃষ্ঠিতে বেশ কয়েক দিনের সেচের খরচ বাচিয়ে দিয়েছে। ফাস্ট ফ্লাসের চা ভালো হবে। ভালো লাগছে। 
এই রকম ভাবে ডুয়ার্সের বহু চাবাগানের ম্যানেজার তাদের মতামত দিয়েছেন। তাদের মতামত অনুযায়ী বলা যায় ফাগুনের বারিধারা ভালো খবরের ঈঙ্গিত দিল।