সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লিস নদীর চরে দেখা মিললো লুপ্তপ্রায় এক দল শকুনের

দেবজ্যোতি মুখার্জি

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:৩৫ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রোববার

লুপ্তপ্রায় একদল শকুনের দেখা পাওয়া গেল ডুয়ার্সের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লিস নদীর চরে। এতেই উচ্ছাসিত ডুয়ার্সের পরিবেশ প্রেমী থেকে বনকর্মীরা। গত কয়েকদিন ধরে এই দৃশ্য দেখেছেন স্থানীয় লোকজন। 

বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত পেরিয়ে লিস নদীর জাতীয় সরক ব্রিজ পেরিয়ে খানিকটা দূরে ওয়াসাবাড়ি চা বাগান। এই চাবাগান থেকে কয়েক কিমি দক্ষিনে দেখা মিলবে লিস নদীর ধারে রয়েছে জলসা বস্তি। এই বস্তির মানুষজন বাড়িতে কোন গবাদিপশু মারা গেলে লিস নদীর চরে ফেলে দেয়। এই রকম ভাবে গত কয়েকদিন আগে এক মহিষ মারা যায়। মৃত মহিষটিকে নদীর চরে ফেলা হয়। সেই মৃত মহিষটিকে ঘিরে একদল শকুনকে কয়েকদিন ধরে দেখা গেছে। এতেই উচ্ছাসিত সবাই। স্থানীয় বাসিন্দা কৈলাশ উরাও জানান, নদীর চরে কোন মরা ফেললেই শকুনদের ইদানীং দেখা যাচ্ছে। সকালের দিকে আসে। খেয়ে দেয়ে গাছের ডালে বসে। আবার বিকালে নেমে এসে আহার করে ফিরে যায়।  
ওই এলাকার বনবিভাগের চেল রেঞ্জের রেঞ্জার তমাল মুখ্যার্জী বলেন, এটা খুব ভালো খবর। একটা সময় প্রায় লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। আবার দেখা পাওয়া ভালো খবর। 
ওদলাবাড়ির পরিবেশ প্রেমী সুজিত দাস বলেন, এটা ভালো খবর। কয়েকদিন আগে রাজগঞ্জে এভাবে দেখা পাওয়া গেছে। তবে অনেকে কু সংস্কারের বসে ওদের তাড়ায়। এটা যাতে না হয় সেটা দেখা দরকার। বন দপ্তরকে নজরদারি চালানো উচিত। 
আর এক পরিবেশ প্রেমী নফসর আলি বলেন, খুব ভালো খবর। আমি নিজে আগামী কাল ওখানে যাব। পর্যবেক্ষণ করব। ওদের যাতে কেউ বিরক্ত না করে সেনিয়ে সচেতন করব। 
মাল বন্যপ্রান শাখার রেঞ্জার বিভুতি ভুষন দাস বলেন, খবরটা আমাদের নজরে আছে। আমাদের লোকজন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।