সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শিরোনামের নজির স্কাই লাইন ইসলামিকের

সানাউল্লাহ আহমেদ,কালিয়াচক মালদা

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩১ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

 

স্বাস্থ্যই সম্পদ সুতরাং স্বাস্থ্যকে সচেতন রাখতে হলে খেলাধূলা পাশাপাশি জ্ঞানচর্চার প্রয়োজন আর এর ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটাতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও স্কাই লাইন ইসলামিক মিশন বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কোনো অংশেই কমতি রাখলো না। বিদ্যালয়টির অনুষ্ঠান পর্ব শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটায় প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীসহ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওশিক্ষিকাবৃন্দের সক্রিয় ভূমিকার মধ্য দিয়ে।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র থানার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারী বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ হিসেবেই নয় বরং একজন বিদ্যালয়ের স্বচেতক অবিভাবক ও অভিভাবিকা হিসেবে তাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করতে এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ কয়েক দিন দিনের ব্যবধানে এই বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির তৃতীয় দিনে পুরষ্কার বিতরণী ও কৃতিছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয় এবং প্রত্যেক কৃতি শিক্ষার্থীদের মুখে শোনা হয় তাদের বিগত বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আগামী খুদেশিশুদের জন্য কতটা বা কিভাবে তুলে ধরলে হয়তো  তাদের উজ্বল ভবিষ্যতের কলকাপজা হাতের মুঠোয় আসবে।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা প্রাক্বালে তুলে ধরেন "আমাদের সময় বাল্যকালের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ছিল আর এখনকার স্কাই লাইন ইসলামিক মিশন স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা একটু বললে ভূল হবে সম্পূর্ণ আলাদা এককথায় অন্য পদ্ধতিতে অবলম্বন নিজ হস্তে গড়া। শুধু তাই নয় পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যব্যাপী যেকোনো প্রতিযোগিতামূকল পরীক্ষায় নজীরগড়ে তুলেছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এককথায়  "এলাকায় নয় বরোতে নয় এবার জেলাকে ছাপিয়ে স্থান অধিকার করতে চলেছে এবার রাজ্য স্থরে সময়ের অপেক্ষা।প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ মাসুদ আলম তুলে ধরেন আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুধু জেলাতে গণিত মেধায় নয় বরং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ কে ছাপিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আইডিয়াল ট্যালেন্ট সার্চে স্থান অধিকার করেছে।তিনি আরোও বলেন "আমরা কিছুই পারি না সবটাই বলি না সবটাই করি না শুধু বলে বা দেখিয়ে দেয় কেমন  করে পড়তে হয় কিভাবে পড়লে বড় হওয়া যায়"। সত্যিই বললে অবাক হওয়ার কথা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আল আমীন মিশন প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসে এরা প্রত্যেকেই উত্তীর্ণ হয়েছে।এছাড়াও এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নিরিবিলি এক মনোরম পরিবেশে মধ্য গড়ে উঠেছে আর এই  স্কুলের মূল লক্ষ্যই হলো "চলি স্বপ্ন পূরনের দেশে একসাথে সবার শেরা হতে সাধারণ থেকে অসাধারণ হতে"।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষিকা তানিয়া রহমত শিক্ষিকা তিনি বলেন"আমি এই বিদ্যালয়ের সার্বিক সাফল্য কামনা করি কেননা বিদ্যালয়টি যেসমস্ত প্রাক্তনী কৃতিছাত্র-ছাত্রীরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে রীতিমতো লড়াই করে চলেছে আর একটা সময় ছিল এলাকার নামে মিডিয়ার কলমে  কালিয়াচক ক্রিমিনাল জায়গা হিসেবে মিডিয়ায় রেড লাইনে ছিল কিন্তু কোথায় গেল সেই সমস্ত মিডিয়া যারা বলেছিল আজ তারা কোথায় তাদের আসা উচিত এখন দেখুক কালিয়াচক ইনশাআল্লাহ আগামী কয়েকদশকের মধ্যেই বিদ্যাননগরী গড়তে এককথায় সাধারণ থেকে অসাধারণ কেমন করে হওয়া যায় তার কলকারখানা গড়ে উঠেছে প্রায় ৫৫০ অধিক আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় দুশোর অধিক অভিভাবক ও অভিভাবকদের ভিড়ে উপচে পড়ে এবং তাদের প্রত্যেকের মূখে একটাই কথা এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য আর হয়তোবা বেশিদিন নেই রাজ্যস্তরে যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জায়গা দখল করেছে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছে স্কাই লাইন ইসলামিক মিশন স্কুল। অবশেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও নৃত্যের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি সূচনা ঘটে।