সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উ. কোরিয়া সমঝোতার মুখে যুক্তরাষ্ট্র-দ. কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০১:২৭ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

ছবি সংগৃহিত

ছবি সংগৃহিত

উ. কোরিয়ার সাথে দ্বিতীয় শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনাকে সামনে রেখে সোমবার (০৫ নভেম্বর) প্রায় ৫০০ মার্কিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ো মেরিন সেনা  ছোট পরিসরের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পিয়ো উত্তর কোরিয়ার সাথে দ্বন্দ্বের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের নেতাদের দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের পরিকল্পনা করছে।

চলতি বছর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ান নেতা কিম জং উনের সাক্ষাতকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশে থাকা এই সামরিক প্রশিক্ষণের মহড়া কোরিয়ান মেরিন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম-এ অন্তর্ভূক্ত ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (দক্ষিণাঞ্চল  ব্যুরো)  নিষেধাজ্ঞাধীন সামরিক ড্রিল পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্তব্য করেন যে, বৃহৎ আকারে সামরিক মহড়া ও প্রশিক্ষনের কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও উভয় দেশ ছোট আকারের হালকা সামরিক মহরা  অব্যাহত রেখেছে, যা দক্ষিণ পোহ্যাং শহরের কাছাকাছি একটি সীমিত প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে পরিচালিত হয়।

সিবিএসের "ফেস দ্য নেশন" -এ দেয়া এক সাক্ষাত্কারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পিও বলেন, "আমি আশা করি আমরা কিছু বাস্তব অগ্রগতি সাধন করবো, যাতে  দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক শীর্ষ সম্মেলন ঘটতে পারে, যাতে আমরা দ্বন্দ্ব নিরসনে পদক্ষেপ নিতে পারি।"

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দেশটির প্রধান যৌথ সামরিক মহড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেইয়া হবে। মূলত পিয়ংইয়ং-এর সাথে দ্বন্দ্ব নিরসনের সংলাপকে উৎসাহিত করার জন্য স্থগিতকৃত সামরিক মহড়া থামিয়ে দেয়ার পর তা পুনোরায় শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্র-দঃ কোরিয়ার এই যৌথ সামরিক মহড়া আন্তর্জাতিক  সমালোচনার মুখে পড়েছে।


জাপানে এবং তার আশেপাশে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ-প্রস্তুতি যুদ্ধ খেলা এগিয়ে চলেছে, তবে পারমাণবিক শক্তিবাহী বিমান বাহিনী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান জাপানের ধ্বংসকারী এবং জাপানের মহাসাগরে একটি কানাডার যুদ্ধবিগ্রহ যোগদান করেছে, উত্তর চাপের চাপে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কোরিয়া।

শুক্রবার উত্তর কোরিয়া এই নিষেধাজ্ঞা আরোপিত যৌথ মহড়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলে ছিলো যে, এধরনের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা পুনরায় উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়ন কাজে ফিরে আসতে বাধ্য করতে পারে।


দেশটির স্থানীয় একটি নিউজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে  বলা হয় যে,  আন্ত-সম্পর্ক উন্নয়নের সাথে নিষেধাজ্ঞাগুলির অবমাননা অসঙ্গতিপূর্ণ।

উত্তর কোরিয়া প্রায় এক বছরের জন্য একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল বা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা স্থগিতকরণে সম্মত হয়েছে এবং তার প্রধান পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্র সাময়িকবন্ধ ঘোষনা করেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলির পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

আমেরিকার কর্মকর্তারা পরমাণু অস্ত্রোপচার বন্ধ করার ব্যাপারে কিমের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তবে ওয়াশিংটন জানিয়েছে যে, এক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি যাচাই না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি সহজে সমর্থন করবে না যুক্তরাষ্ট্র।


দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি জে-ইন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলতে থাকা সম্পর্ক উন্নয়ন প্রচেষ্টার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে সিওল পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে উত্তর কোরিয়াতে চাপ কমিয়ে দিতে পারে। এমন মন্তব্য ও পরিচালিত হালকা সামরিক মহড়া সম্পর্ক উন্নয়েনর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে বলে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 


- এস.খান