ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত প্লেনের সিভিআর পাওয়া যাচ্ছে না
জাগরণ ডেস্ক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার
ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত প্লেনের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
দুর্ঘটনার সপ্তাহ পরেও ধ্বংসাবশেষে তল্লাশি চলছে।শনিবার অনুসন্ধানকারীরা কিছু সময়ের জন্য সিভিআর থেকে সংকেত শুনতে পেলেও রোববার থেকে ওই সংকেত আর পাওয়া যাচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা সিএনএন ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ডুবুরিরা সিভিআর এর অবস্থান জানতে কাজ করে যাচ্ছেন।এটা উদ্ধার করা সম্ভব হলে বোয়িং-৭৩৭ দুর্ঘটনার ঠিক আগ মুহূর্তে কী ঘটেছিল তা জানা যাবে।
ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ সৌগি গণমাধ্যমকে জানান,‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে শনিবার এক ধরনের সুক্ষ্ম শব্দ শোনা গিয়েছিলো,তবে রোববার থেকে ওই শব্দ আর শোনা যাচ্ছে না।আমরা ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়ার আশপাশের ৫০ মিটারের মধ্যে তল্লাশি চালিয়েছি তারপরও সিভিআর (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার)খুঁজে পাইনি’।
বুধবার পর্যন্ত অনুসন্ধান কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন মুহাম্মদ সৌগি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) প্রথম ব্ল্যাক বক্স যা মূলত ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার নামে পরিচিত, তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।কিন্তু ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) নামের আরেকটি অংশ যেখানে ককপিটের ভেতর পাইলটদের নিজেদের মধ্যের কথাবার্তা,পাইলটদের সঙ্গে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিট এর সঙ্গে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমান বন্দরের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড হতে থাকে সেটি খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনো।
গত ২৯ অক্টোবর ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে লায়ন এয়ারের ওই প্লেনটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের ১৩ মিনিটের মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে প্লেনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, আরোহীদের সবাই হয়তো মারা গেছেন।