বিপ্লব উদযাপনে মার্কিন বিরোধী স্লোগানে প্রকম্পিত তেহরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার
ছবি সংগৃহিত
১৯৭৯ সালের ইরানের ইসলামীক বিপ্লব ও তৎকালিন মার্কিন দূতাবাসের জিম্মি বার্ষিকী এবং ইরানের তেল খাতের উপর যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন পুননিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে রবিবার হাজার হাজার ইরানী নাগরিক সমাবেশ করেছে। এ সময় তারা ইরানী বিপ্লবের চেতনাকে জাগ্রত করার আহবান জানায় ও দফায় দফায় মার্কিন বিরোধী স্লোগানে সমাবেশস্থল প্রকম্পিত করে তোলে।
রাজধানী তেহরানে সরকার-সংগঠিত সমাবেশটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা তারকা খচিত লাল সাদা ডোরার প্রতীকী মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে মার্কিন দেশটির প্রতি পুনয়ারোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানায়। এছাড়াও পুরাতন মার্কিন দূতাবাসের বাইরে আঙ্কেল স্যামে ও রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূর্তি এবং ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা।
১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত সরকারের পতন পর, সে বছর ৪ নভেম্বর শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাত্র-জনতা তৎকালীন মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় এবং ৫২ আমেরিকান কূটনৈতিককে ৪৪৪ দিনের জন্য জিম্মি করা হয়। যারা পরবর্তীতে দুই দেশের মাঝে শত্রুভাবাপন্নতা সৃষ্টি করে। প্রতি বছর দূতাবাস অধিগ্রহণের বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি ২০১৫ থেকে তেহরানের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মে মাসে ট্রামের সিদ্ধান্তের পর মার্কিন বিরোধী ক্ষোভ শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। এই চুক্তিতে ইউএন নজরদারির অধীনে তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ করার জন্য বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক আর্থিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি দেশটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুননির্ধারনকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত হইয়ে উঠে পরিস্থিতি। রবিবার নিজের দেয়া বিবৃতিতে, এ বিষয়ে মার্কিন নিতির কথোর সমালোচনা করেন ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা খামেনি। দেশটির স্থানীয় গনমাধ্যমের দেয়া তথ্য মতে, রোববার নগর ও শহরগুলিতে লক্ষাধিক মানুষ তেহরাণের রাস্তায় নেমে আসে এবং তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতি আনুগত্যে প্রকাশের শপথ গ্রহন করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পিও বলেছেন যে, এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
অন্যদিকে ইরানের সামরিক বাহিনী আইআরএনএ সোমবার দুই দিনব্যাপী বিমান প্রতিরক্ষা অনুশীলন শুরুর কথা জানায়। আইআরএনএ সমন্বয়কারী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সাহারী এক বিবৃতিতে ইরানীদের আশ্বস্ত করে বলেন যে, ইরান প্রতিপক্ষের যে কোনো হুমকি নিরসন করতে পারে এবং তা দেশকে কোনো হুমকির মখে ফেলতে পারবে না।