পেঁয়াজ চুরির মামলায় গ্রেপ্তার ১, বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি
শঙ্কর গুপ্ত, রায়গঞ্জ
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:৩৪ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
পেঁয়াজ চুরির অপবাদে বৃদ্ধার আত্মঘাতী হওয়ার মামলায় অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম রামচন্দ্র দাস। মঙ্গলবার ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনায় শাসক ও বিরোধী চাপানউতোর তীব্র আকার নিল মঙ্গলবার। এদিন বিকেলে বরুনা পঞ্চায়েতের আন্ধাশুলা হাট এলাকায় বিজেপি উপপ্রধানের গ্রেপ্তারি চেয়ে মিছিল করলো তৃনমূল। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহকে সামনে রেখে এই মিছিল হয়। ব্লক তৃনমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য, জেলাপরিষদ সদস্য দধিমোহন দেবশর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মনীন্দ্রনাথ রায়, ব্লক তৃনমুল সংখালঘু সেলের সভাপতি আব্দুল খাবির, ব্লক তৃণমূল নেতা বাপ্পা সরকার ও দুলাল রায় সমেত বহু নেতাকর্মী এই মিছিলে অংশ নিয়েছিল।
পেঁয়াজ চুরির অপবাদ ও জরিমানার টাকা যোগাড় করতে না পেরে আত্মঘাতী বৃদ্ধা মিনতি মন্ডলের মৃত্যুর জন্য দায়ী বিজেপির উপপ্রধান ননীগোপাল মন্ডল সহ অপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলে এদিনের মিছিলে সোচ্চার হয় তৃনমুলীরা। এদিন তৃনমূলের এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন পেঁয়াজ চুরি কান্ডের জেরে বৃদ্ধার প্রানঘাতী হওয়া মর্মান্তিক ঘটনা। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। যে ঘটনা সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে আমাদের দলের উপপ্রধান ননীগোপাল মন্ডল বৃদ্ধার পাশে দাড়িয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারনে এই ঘটনাকে অন্য মোর দিয়ে বিজেপি উপপ্রধানকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হল।
পুলিশ সঠিক ভাবে মামলার তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য সামনে আসবে। তদন্তে যদি দোষ প্রমান হয়, তাহলে সাজা পাবে তাদের উপপ্রধান। কিন্তু তাদের মনে হচ্ছে এই মামলায় উপপ্রধানকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। পেঁয়াজ চুরির ঘটনায় সালিশি সভা ডেকেছিল জমির মালিক। সেই জমি মালিকের ডাক পেয়ে সালিশি সভায় গিয়ে সবকিছু শুনে তাদের উপপ্রধান দরিদ্র বৃদ্ধা পাশে দাড়িয়ে তাকে ছাড়ানোর ব্যবস্হা করেন। পুরো ঘটনা উল্টো সাজিয়ে এখন তাদের উপপ্রধানকে ভিলেন বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ জেলা বিজেপি সভাপতির।